রাসায়েল ও মাসায়েল ৬ষ্ঠ খন্ড |
|
|
লিখেছেন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী
|
Monday, 28 February 2011 |
পাতা 44 মোট 74
<h1>৪২। বাইয়ে সালাম</h1>
প্রশ্ন : আজকাল ব্যবসায় বাণিজ্যে অগ্রিম বেচাকেনার প্রথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত। অর্থাৎ কোনো কোনো পণ্যের মূল্য আগে ঠিক করা হয় এবং লেনদেন পরে হয়। কোনো কোনো আলেম এটাকে 'বাইয়ে সালাম' বলেন এবং জায়েয বলে রায় দেন। কিন্তু আসলে বাইয়ে সালাম কি তা সাধারণভাবে জানা নেই। অনুগ্রহপূর্বক এর সংজ্ঞা ও শর্তাবলি সুস্পষ্টভাবে জানবেন যাতে কেনাবেচার সময় কোন্টা জায়েয এবং কোন্টা জায়েয নয়, তা নির্ণয় করা সহজ হয় এবং অজ্ঞতাবশত কোনো ভ্রান্ত নিষিদ্ধ কাজে জড়িয়ে পড়তে না হয়।
জবাব : শরিয়তে বাইয়ে সালাম, এমন কেনাবেচাকে বলা হয়, যাতে মূল্য তাৎক্ষণিকভাবে দেয়া হয়, কিন্তু তার বিনিময়ে পণ্য একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পরে আদায় করা হয়। এটি জায়েয ও বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য হাদিস ও ফেকাহ শাস্ত্রের আলোকে কয়েকটি অত্যাবশ্যকীয় শর্ত রয়েছে। তন্মোধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রায় সর্ববাদীসম্মত শর্তাবলী নিম্নরূপ :
১. পণ্য দ্রব্য ও তার মূল্য সঠিকভাবে ও সুস্পষ্টভাবে নির্ণিত হওয়া চাই। দ্রব্যের ওজন, মান, শ্রেণী ইত্যাদি এমনভাবে চিহ্নিত হতে হবে, যাতে পরবর্তী সময় কোনো প্রকার সন্দেহ, বিরোধ বা সতর্কের অবকাশ না থাকে।
২. পণ্য দ্রব্যটি এমন হওয়া চাই যে, বেচাকেনা স্থির করার সময় তা বাজারে সহজলভ্য হয় অথবা নিকট ভবিষ্যতেই সহজলভ্য হবে বলে আশা করা যায়।
৩. পণ্য দ্রব্যটি কতোদিন পর ক্রেতার কাছে হস্তান্তরিত হবে, তা সঠিকভাবে নির্ণিত হওয়া চাই।
৪. মূল্য সুনির্দিষ্ট হওয়া চাই এবং স্থির করণের সময় তা অগ্রীম দেওয়া চাই।
৫. পণ্য দ্রব্য ফেরত দেয়া এবং বিক্রয় বাতিলের শর্ত না থাকা চাই।
৬. পণ্য দ্রব্যটির পরিবহন ও স্থানান্তর যদি ব্যয় সাপেক্ষ ও আয়াসসাধ্য হয়, তবে কোন জায়গায় তা ক্রেতার কাছে হস্তান্তর করা হবে, তা চিহ্নিত হওয়া চাই। [তরজমানুল কুরআন, জুলাই ১৯৫৮]
|
সর্বশেষ আপডেট ( Friday, 04 March 2011 )
|