 |
|
 |
আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক
করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা
করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
রাসায়েল ও মাসায়েল ৬ষ্ঠ খন্ড |
|
|
লিখেছেন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী
|
Monday, 28 February 2011 |
পাতা 45 মোট 74
<h1>৪৩। হযরত আলী রা.-এর জন্য সূর্যকে ফিরিয়ে দেয়ার ঘটনা কি সত্য?</h1>
প্রশ্ন : অক্টোবর, ১৯৬৩ সংখ্যা তরজমানুল কুরআনে তাফহীমুল কুরআনের টীকা ৩৫-এ সূর্য ফিরিয়ে আনার ঘটনা সম্বলিত হাদিসগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বর্ণিত হয়েছে যে, একবার হযরত আলী রা.-এর আসরের নামায ছুটে যায়। রসূল সা. দোয়া করলে সূর্য যথাস্থানে ফিরে আসে এবং তিনি নামায পড়ে নেন। এ সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলা হয়েছে, ইমাম ইবনে তাইমিয়া এবং ইবনে জাওযীর মতে এটি মনগড়া এবং ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের মতে এটি ভিত্তিহীন হাদিস।
এ হাদিস সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে আমি নিম্নরূপ তথ্য পেয়েছি :
আবু জাফর তাহাবী আহমদ বিন মুহাম্মদ মিসরি হানাফি 'মুসকিলুল আসার' গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডে ১২শ পৃষ্ঠায় এ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং এই ঘটনাকে হযরত ইউশা ইবনে নূনের জন্য সূর্যকে থামিয়ে দেয়ার ঘটনার সাথে তুলনীয় বলেছেন।
এই হাদিসের সনদে মুহাম্মদ বিন মাওলা নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন। তার সম্পর্কে গ্রন্থকার বলেন--------------- অর্থাৎ প্রশংসিত বর্ণনাকারী। অপর বর্ণনাকারী মুহাম্মদ বিন আওন ও উম্মে জা'ফর রসূল সা.-এর পরিবার থেকে উদ্ভুত। তারা সত্যভাষী এবং তাদের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য। হাদিস বিশারদগণ এ হাদিসকে নবুওয়াতের অন্যতম প্রধান নিদর্শন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (মুসকিলুল আসার, দ্বিতীয় খণ্ড, সূর্যের প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত বর্ণনাসমূহ ইত্যাদি) অনুরূপভাবে হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ তাহতাবীতে (নূরুল ইযাহর ব্যাখ্যা) নামাযের ওয়াক্ত সংক্রান্ত আলোচনায় এ প্রশ্ন তোলা হয়েছে :
---------------------------------------------------------------------------------
এর প্রমাণ দর্শাতে দিয়ে গ্রন্থকার আলী সংক্রান্ত সেই হাদিসটি উদ্ধৃত করেছেন, অত:পর মন্তব্য করেছেন যে:
---------------------------------------------------------------------------------
অনুরূপভাবে নূরুল আনোয়ারের আলোচনা প্রসঙ্গে এই হাদিসগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এ হাদিস মনগড়াও নয়, ভিত্তিহীনও নয়।
সকল পাঠকের জন্য উপকারি মনে করলে এর জবাব তরজমানে ছেপে দেবেন।
জবাব : সূর্যের প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত হাদিসগুলোর ব্যাপারে শুধুমাত্র তাহতাবীর মুশকিলুল আসার ও নূরুল আনোয়ারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা পড়েই যদি আপনি মনে করে থাকেন যে, অনুসন্ধানের কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে, হাদিসের বক্তব্য ও তার সনদের ব্যাপারে সকল জটিলতার নিরসন হয়ে গেছে এবং এই হাদিসগুলো নিখুঁত ও নির্ভুল প্রমাণিত হয়ে গেছে, তাহলে আপনার এই ধারণা ঠিক নয়। উল্লেখিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে আপনার এই সিদ্ধান্ত আসাও ঠিক নয় যে, ইবনে জাউযী বা অন্য এক-আধজন মুহাদ্দিস এ হাদিসগুলোকে দুর্বল বা মনগড়া আখ্যায়িত করেছেন এবং অন্য সবার কাছে তা সহীহ ও নিখুঁত। প্রকৃত ব্যাপার হলো, হযরত আলীর জন্য সূর্যকে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত সকল হাদিস হাদিসবিশারদগণ ও সনদ বিশেষজ্ঞগণের মতে শুধু অত্যাধিক দুর্বলই নয়, বরং মনগড়া ও মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। এসব হাদিসের সনদের কোনো একটি ধারাও সঠিক ও নির্ভরযোগ্য নয়।
ইমাম ইবনে তাইমিয়া এই হাদিসগুলো সম্পর্কে যে সমালোচনা করেছেন তা তাঁর গ্রন্থ মিনহাজুস্ সুন্নাহতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। মিনহাজুস সুন্নাহর প্রচলিত সংস্করণটি ইমাম যাহাবী কর্তৃক সংক্ষেপিত এবং মুনতাকায়ে মিনহাজুস্ সুন্নাহ নামে পরিচিত। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, এই ক্ষুদ্র গ্রন্থখানি দু'জন উঁচুদরের হাদিস বিশারদদের যাঁচাই বাছাই-এ উত্তির্ণ ও সত্যায়িত। এই গ্রন্থের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ৫২৪-৫২৮ পৃষ্ঠায় 'সূর্য ডুবে যাওয়ার পর হযরত আলীর জন্য তার দুইবার প্রত্যাবর্তনের আজগুবি কাহিনী' শিরোনামে ইমাম ইবনে তাইমিয়া এই হাদিসগুলোর পর্যালোচনা করেছেন। তিনি এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের একাধিক ধারাক্রম তুলে ধরেছেন। ইমাম তাহাবী মুশকিলুল আসার গ্রন্থে যে কয়টি ধারাক্রম বর্ণনা করেছেন, ইবনে তাইমিয়ার পর্যালোচনায় তাও বাদ যায়নি। প্রতিটি ধারাক্রমের বর্ণনাকারীদের সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া পৃথকভাবে তুলে ধরেছেন। ইমাম হাব্বান, আবু হাতিম, ইবনে আদী, দারুকুতনী এবং শু'বা প্রমুখ হাদিস বিশারদের কঠোর সমালোচনা। পরিশেষে নিজের রায় দিয়েছেন এভাবে :
"হযরত আলীর মহত্ত্ব সম্পর্কে আমাদের যে নিশ্চিত জ্ঞান রয়েছে, তার উপস্থিতিতে তিনি এ ধরণের মিথ্যাচারের মুখাপেক্ষী নন। রসূল সা.-এর আমলে তাঁর জন্য সূর্যকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি তাহাবী, কাযূ ইয়ায কতিপয় গ্রন্থাকার উল্লেখ করেছেন এবং এটাকে রসূল সা.-এর মু'জিযা হিসেবে গণ্য করেছেন। কিন্তু হাদিস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞগণ জানেন যে, এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।"
এই বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হাদিসগুলো নিয়ে বিস্তারিত ও পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন হাফেয ইবনে কাছির আলবিদায়া ওয়ান নিহায়ার ৬ষ্ঠ খণ্ডে। এই খণ্ডের বেশিরভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে রসূল সা.-এর মু'জিযা বিষয়ক আলোচনা। সেখানে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল হাদিস এবং সাহাবায়ে কিরামের উক্তি ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত করেছেন। 'নবুওয়তের ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য নিদর্শনাবলী' শিরোনামে ৭৬ থেকে ৮৭-এই এগারো পৃষ্ঠা জুড়ে অত্যন্ত তৃপ্তিকর ও বিস্তৃত সমালোচনা ও পর্যালোচনা চালিয়েছেন সূর্যকে ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত সব ক'টি বর্ণনা সম্পর্কে। হাদিস বর্ণনাকারীদের জীবন ও চরিত্র বিষয়ক শাস্ত্র 'আসমাউর রিজালের' বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যে বিপুল সংখ্যক ব্যক্তিত্ব এই হাদিসগুলোর সনদের সবক'টি ধারাকে দুর্বল এমনকি মনগড়া আখ্যায়িত করেছেন, তাদের মধ্যে যাহাবি দারুকুতনী, ইবনে হাব্বান, ইবনে আদী, ইয়াহিয়া বিন মঈন, ইবনে আসাকির, ইবনে নাসের বাগদাদী, শু'বা ইবনে যানজুয়াই, দারমী, নাসয়ী, আবু হাতেম, রাযী, আলমাসী, ইবনে হাযম, ইবনে জাওযী, ইবনে মুবারক, ইবনে মাহদী, আবু যারয়া, বুখারি আবু দাউদম, জাউযেজানী প্রমুখ উঁচুদরের ইমাম রয়েছেন। এ সুদীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে ইবনে কাছির এ বিষয়ে নিম্নরূপ মন্তব্য করেন :
"ইমাম মালেক, ছয়টি প্রধান সহীহ হাদিস গ্রন্থের সংকলকগণ, অন্যান্য মুসনাদ, সুনান এবং সহীহ ও গ্রহণযোগ্য হাদিস সংকলনসমূহের গ্রন্থকারগণ সূর্যের প্রত্যাবর্তন সম্বলিত এই হাদিসটিতে বর্জন করেছেন এবং তাদের গ্রন্থসমূহ এটি উদ্ধৃত করেননি। তাদের সকলের কাছে যে এটি একটি ভিত্তিহীন ও মনগড়া মিথ্যা হাদিস, হাদিসটির ঐসব গ্রন্থে স্থান না পাওয়াই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ইমাম নাসায়ীর কথাই ধরা যাক, যিনি শুধুমাত্র হযরত আলীর র. মর্যাদা ও গুণীবলী সম্পর্কে একখানা স্বতন্ত্র পুস্তক রচনা করেছেন। কিন্তু তিনিও এ হাদিস উল্লেখ করেননি। হাকেমও স্বীয় গ্রন্থ মুসতাদরাকে এটি বর্ণনা করেননি। অথচ উল্লেখিত দু'জনকেই কিছুটা শিয়াঘেঁষা মনে করা হয়ে থাকে। নির্ভরযোগ্য হাদিস শাস্ত্রবিদদের মধ্যে যিনিই এ হাদিস বর্ণনা করেছেন নিছক বিস্ময় প্রকাশের খাতিরেই করেছেন। সকল যুগের হাদিস শাস্ত্রীয় ইমামগণ এ হাদিসের সত্যতা অস্বীকার করেছেন, প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এর বর্ণনাকারীদের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড উষ্মা ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন। ইতিপূর্বে আমরা বেশ কিছু সংখ্যক মুহাদ্দিসের উচ্চারিত নিন্দা ও সমালোচনা উদ্ধৃত করেছি।"
ইমাম তাহাবীর গৃহীত হাদিসগুলোর মধ্যে কয়টি অপেক্ষাকৃত নির্ভরযোগ্য বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিলো। ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে কাছির উভয়ে সেগুলোতেও বিবিধ খুঁত চিহ্নিত করেছেন। ইবনে কাছির আরো লিখেছেন :
"যদিও ইমাম তাহাবী এ হাদিস সম্পর্কে কিছুটা সন্দেহ সংশয়ে ভুগেছেন, কিছু ইমাম আবু হানিফার পক্ষ থেকে এ হাদিসকে সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান এবং এর বর্ণনাকারীদের প্রতি ধিক্কার উচ্চারিত হয়েছে।"
ইমাম তাহাবী সম্পর্কে ইমাম তাইমিয়ার একটি বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এবং ইবনে কাছিরও তা উদ্ধৃত করেছেন। সেটি হলো : "যাচাই বাছাই করার যোগ্য বিচক্ষণ মুহাদ্দিসের সমন্বয়ে গঠিত কোনো উত্তম ধারাবাহিক সনদ তার করায়ত্ত ছিলনা।"
ইমাম আবু হানিফা যে এই হাদিসের উপর আপত্তি তুলেছেন ও প্রত্যাখ্যান করেছেন, তা সূত্র সহকারে বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনে কাছির বলেন :
"ইনি সেই আবু হানিফা, যিনি একজন মান্যগণ্য ইমাম। কুফাবাসী হওয়ায় হযরত আলীর প্রতি তাঁর মুহাব্বত এবং আল্লাহ ও রসূলের স্বীকৃত তাঁর যথার্থ মর্যাদা প্রদানের ব্যাপারে তাঁর সম্পর্কে কেউ কোনো অভিযোগ তোলেনি। তথাপি তিনি এই হাদিসের বর্ণনাকারীর প্রতি আপত্তি তুলেছেন।"
ইমাম তাহাবী প্রমুখ এ সংক্রান্ত যে কয়টি হাদিসের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন, তার সনদ বা বর্ণনা সূত্রের ব্যাপারে উপরোক্ত পর্যালোচনা ছাড়াও তার ভাষা ও বক্তব্যটিও যুক্তির আলোকে বিচার বিবেচনার দাবি রাখে। এ ব্যাপারে নিজের ভাষায় কিছু বলার চেয়ে ইবনে কাছীর ও ইবনে তাইমিয়ার বক্তব্য উদ্ধৃত করাই অধিকতর সমীচীন মনে হচ্ছে। ইবনে তাইমিয়া তাঁর পূর্বোক্ত আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন :
"কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতো বড় ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেলো, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর পুনরায় উঠলো, অথচ যে বিপুল সংখ্যক প্রত্যক্ষদর্শী চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেছিল, তারা এ ঘটনা বর্ণনা করলো না-এটা কিভাবে সম্ভব? তাছাড়া সূর্য ডুবলেই তো আসরের নামাযের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর নামাযীর নামায সময়মত পড়া সম্ভব নয়, চাই সূর্য ডোবার পর পুনরায় ফিরে আসুক না কেন। সূর্যাস্তের পর রোযাদের ইফতার করে ফেলতে পারে এবং মাগরিবের নামায পড়া হয়ে যেয়ে থাকতে পারে। পুনরায় সূর্যোদয়ে সেই রোযা ও নামায কি বাতিল হয়ে গেলো? বস্তুত এটা একটা অসম্ভব কল্পনা ছাড়া কিছু নয়।"
এরপর ইবনে তাইমিয়া রহ. রসূল সা. ও সাহাবায়ে কিরামের অংশগ্রহণে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং তখন ঘুম অথবা প্রচণ্ড ব্যস্ততার কারণে নামায কাযা হয়ে গিয়েছিল তার প্রসঙ্গ তুলেছেন। এসব যুদ্ধে রসূল সা. এবং হযরত আলী রা. থাকা সত্ত্বেও সেখানে আল্লাহ সূর্যকে ফিরিয়ে এনে দিনকে রাত এবং রাতকে দিনে রূপান্তরিত করেননি।বরং ছুটে যাওয়া নামায কাযা পড়া হয়েছে। ইবনে কাছিরও এ যুক্তির পুনরাবৃত্তি করেছেন। সেই সাথে ইবনে কাছির এ কথাও বলেছেন, যেসব সাহাবিকে রসূল সা. একবার বনু কুরায়যার বস্তিতে গিয়ে আসরের নামায পড়তে বলেছিলেন এবং তার আদেশের হুবুহু আনুগত্য করতে গিয়ে তারা পথিমধ্যে নামায পড়েননি। পথিমধ্যেই সূর্য ডুবে যায় এবং তারা বনু কুরায়যায় পৌঁছে মাগরিবের নামাযের পর আসরের নামায পড়েন। তাঁদের জন্য যদি সূর্য ফিরে না এসে থাকে তাহলে হযরত আলীর জন্য কিভাবে এটা ঘটলো? হাফেয ইবনে কাছির আরো বলেন :
"শরিয়তে অভিজ্ঞ কোনো ব্যক্তির কাছে এটা কিভাবে বোধগম্য হতে পারে যে, হযরত আলী এ হাদিসের প্রথম বর্ণনাকারী হবেন, অথচ এতে তাঁর অসাধারণ মাহাত্ম্য এবং রসূল সা.-এর এক চাঞ্চল্যকর মুজিযার বিবরণ রয়েছে, আর এতদসত্ত্বেও এমন সনদের মাধ্যমে তা পরবর্তী পর্যায়ে বর্ণিত হতে পারে? এটা কিভাবে সম্ভ যে, প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনা সংঘটিত হলো এবং এটি অন্যদের কাছে পৌঁছাবার পর্যাপ্ত উপায় উপকরণ ও বহু প্রেরণাদায়ক উপাদান এতে ছিলো, অথচ তা সত্ত্বেও এ ঘটনা বর্ণনার সব কয়টি ধারা দুর্বল ও অপরিচিত, এমন কি অধিকাংশ বানোয়াট ও মনগড়া।"
পরবর্তীতে এক জায়গায় তিনি বলেন : সূর্য অস্ত যাবার পর পুনরায় উদিত হওয়া কেয়ামত আসন্ন হওয়ার একটা বড় রকমের আলামত। এটা তো কোনো মামুলি ঘটনা নয় যে, সংঘটিত হয়েই মিলিয়ে যাবে এবং কেউ টেরও পাবেনা? [তরজমানুল কুরআন, মে ১৯৬৫]
|
সর্বশেষ আপডেট ( Friday, 04 March 2011 )
|
|
|
|