 |
|
 |
আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক
করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা
করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
রাসায়েল ও মাসায়েল ৬ষ্ঠ খন্ড |
|
|
লিখেছেন সাইয়্যেদ আবুল আ'লা মওদূদী
|
Monday, 28 February 2011 |
পাতা 49 মোট 74
<h1>৪৭। হযরত আলী রা.-এর বর্ম চুরি-১</h1>
প্রশ্ন : হযরত আলী রা.-এর খেলাফত আমলে কিরূপ ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রাধান্য ছিলো, তার দৃষ্টান্ত হিসেবে সচরাচর একটা ঘটনা বর্ণনা করা হয়ে থাকে। জনৈক ইহুদির বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা রুজু করেন যে, সে তাঁর বর্ম চুরি করে নিয়েছে। এই মামলায় তিনি নিজের ছেলে ও ভৃত্যকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করেন। বিচারক তাঁর উভয় সাক্ষীকে প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, আইনত ছেলের সাক্ষ্য বাপের জন্য এবং ভৃত্যের সাক্ষ্য মনিবের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
১. আমি প্রথমত জানতে চাই যে, এ ঘটনার প্রকৃত বিবরণ কি?
২. ঘটনাটা যদি এ রকমই হয়ে থাকে, তাহলে জিজ্ঞেস এই যে, হযরত আলীর মতো অমন উঁচু দরের একজন ফকীহ কি জানতেন না যে, ছেলে ও ভৃত্যকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করা চলেনা।
অনুগ্রহপূর্বক এ ঘটনার বিশদ বিবরণ এবং এর উপর যে প্রশ্ন জাগে তার জবাব কি হলে জানালে উপকৃত হবো।
জবাব : আমিও হযরত আলীর এ ঘটনা শুনেছি এবং বোধহয় কোথাও পড়েছিও যে, তিনি বিচারপতি শুরাইহের আদালতে নিজের বর্ম চুরির মামলা দায়ের করেছিলেন এবং নিজের ছেলে হযরত ইমাম হাসানকে এবং ভৃত্য কিম্বরকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করেছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে ঘটনার এই বিবরণ অনুসন্ধান করেও কোনো প্রামাণ্য গ্রন্থে খুঁজে পেলামনা। তবে ইমাম বায়হাকী স্বীয় গ্রন্থ সুনানে কু্বরার দশম খণ্ডে ১৩৬ পৃষ্ঠায় 'আদালতের কার্যবিধি' সংক্রান্ত অধ্যায়ে সনদ সহকারে ঘটনাটি যেভাবে তুলে ধরেছেন তা নিম্নরূপ :
"ইমাম শাবীর বর্ণনা এই যে, একদিন হযরত আলী বাজারে গিয়ে দেখেন, জনৈক খৃষ্টান একটা বর্ম বিক্রি করছে। হযরত আলী তৎক্ষনাৎ বর্মটি চিনে ফেললেন এবং বললেন, এ বর্ম তো আমার। চল, ইসলামি আদালতে তোমার ও আমার মধ্যে ফয়সালা হবে। আদালতের বিচারক ছিলেন শুরাইহ। আমীরুল মুমিনীন বিচারপতি শুরাইহকে বললেন, এই ব্যক্তির সাথে আমার বিরোধ মিটিয়ে দিন। শুরাইহ বললেন : আমীরুল মুমিনীন! আপনার বক্তব্য কি? হযরত আলী বললেন : এই বর্মটি আমার। অনেক দিন যাবত এটি নিখোঁজ রয়েছে। শুরাইহ বললেন : ওহে খৃস্টান! তুমি কি বলতে চাও? সে বললো, 'আমীরুল মু'মিনীন, বর্মটি এই ব্যক্তির দখলে রয়েছে। কোনো প্রমাণ ছাড়া তা তার কাছ থেকে নেয়া যায় বলে আমি মনে করিনা। আপনার কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি? হযরত আলী বললেন, শুরাইহ ঠিকই বলেছেন। এ কথা শুনে খৃস্টান লোকটি বলে উঠলো : আমি সাক্ষী দিচ্ছি যে, এটা নবীদের বিধান ও শিক্ষাই বটে। আমীরুল মুমিনীন নিজের দাবি বিচারকের সামনে পেশ করেছেন, আর বিচারক তার বিপক্ষে রায় দিচ্ছে। আল্লাহর কসম! আমীরুল মুমিনীন! এটা আপনার বর্ম। আমি এটা আপনার কাছে বিক্রী করেছিলাম। পরে তা আপনার মেটে রং-এর উটটির উপর থেকে ছিটকে পড়ে গেলে আমি ওটি তুলে নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সা. আল্লাহর রসূল। হযরত আলী বললেন। তুমি যখন মুসলমান হয়ে গেলে, তখন এ বর্ম এখন থেকে তোমার। অতপর হযরত আলী তাকে ভালো দেখে একটা ঘোড়াও দিলেন এবং তাতে চড়িয়ে তাকে বিদায় দিলেন। ইমাম শা'বী বলেন, আমি এই নওমুসলমানকে পরবর্তীকালে মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে দেখেছি।"
অপর এক সনদে ইমাম শা'বী বলেন, "হযরত আলী রা. এছাড়া তার জন্য দু'হাজার দিরহাম ভাতাও নির্ধারণ করে দেন। অবশেষে এই ব্যক্তি সিফফীন যুদ্ধে আলীর রা. পক্ষে লড়াই করে শহীদ হন।"
'নাইলুল আওতার' ও অন্যান্য গ্রন্থে09ও এ ঘটনা সুনানে বায়হাকীর বরাত দিয়ে এরকমই বর্ণিত হয়েছে।
উপরে যে বিবরণ দেয়া হলো, ঘটনা যদি এতোটুকুই হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্নে যে আপত্তি তোলা হয়েছে, তা আর এখানে উঠেনা। তবুও যদি ধরে নেই যে, হযরত আলীর পক্ষে তার ছেলে ও ভৃত্য সাক্ষ্য দিয়েছে, তাহলে সেটা এমন কোনো নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ হয়নি যে, তা নিয়ে এই সম্মানিত পিতাপুত্রকে অভিযুক্ত করতে হবে। আমি মনে করি এই ঈমানোদ্দীপক ঘটনাটার এ দিকটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, হযরত আলী কিসের দাবি জানিয়েছেন এবং তার ব্যাপারে কে কি সাক্ষ্য দিলো বা দিলোনা। বরং এর কেন্দ্রীয় বিষয়টা হলো, আমীরুল মুমিনীন একজন নিশ্চিত সত্যভাষী হয়েও নিজের দাবি প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হলেন। আর আদালত একদিকে রসূল সা.-এর একজন সাহাবি এবং খোলাফায়ে রাশেদ রয়েছেন আর অপরদিকে একজন অমুসলিম নাগরিক। আদালত সেদিকে আদৌ ভ্রুক্ষেপ না করে এমন রায় দিলো, যা ছিলো সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ইনসাফভিত্তিক ও সন্দেহাতীত।
একথা ঠিক যে, নিকটাত্মীয় বা পরিবারের সদস্যদের সাক্ষ্য পরস্পরের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় এই মর্মে রসূল সা. উক্তি একাধিক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু প্রথমত এটা অসম্ভব নয় যে, রসূল সা.-এর এ উক্তি হযরত আলী ও হযরত হাসানের অজানাও থাকতে হবে। এমন বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, কোনো কোনো সাহাবির এমনকি খোলাফায়ে রাশেদীনেরও রসূল সা.-এর কোনো কোনো উক্তি জানা থাকতোনা এবং ঘোষণা দেয়া হতো যে, রসূল সা.-এর অমুক বিষয়ে কোনো কথা ও কাজ কারো জানা কথা ভুলে যাওয়া বিচিত্র ছিলনা। হযরত ওমর রা.-এর এ ঘটনা সুবিদিত যে, তায়াম্মুম সম্পর্কে রসূল সা.-এর একটা উক্তি তাঁর মনে ছিলনা, হযরত আম্মার রা.-এর মনে ছিলো। অথচ উভয়ের সামনেই রসূল সা. কথাটা বলেছিলেন।
এছাড়া ফরিয়াদির কাছে যদি নিজ পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কোনো সাক্ষী না থাকে, অথবা একেবারেই কোনো সাক্ষী না থাকে, কিন্তু নিজের সুনিশ্চিত জ্ঞান ও বিশ্বাসের বলে সে নিজের দাবিকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ বলে জানে, তাহলে সে নিজের দাবিকের যথাযথভাবে বিচারকের সামনে উত্থাপন করতে পারে। ফরিয়াদি যদি অবাস্তব বক্তব্য না রাখে এবং মিথ্যা সাক্ষ্য হাজির না করে, তাহলে আল্লাহর কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হবেনা। তবে দুনিয়ায় তার দাবি ও সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে কিনা, সেটা বিচারকের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। বিচারক যদি দাবিকে প্রমাণযোগ্য ও সাক্ষ্যকে গ্রহণযোগ্য মনে না করেন, তাহলেও আসামীর জবানবন্দী গ্রহণ করা তার কর্তব্য। সে অপরাধের স্বীকারোক্তি করতে পারে। কিন্তু যদি সে অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তার বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য সাক্ষ্য বা আদৌ সাক্ষ্য না থাকে, তাহলে বিচারক তাতে শপথ করে জবানবন্দী দিতে বাধ্য করবেন। এছাড়া সে অব্যহতি পেতে পারেনা। হাদিসেই বলা হয়েছে :
------------------------------------------
"সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করা ফরিয়াদির দায়িত্ব আর বিবাদী অভিযোগ অস্বীকার করলে তার কর্তব্য কসম খাওয়া।"
এ হাদিস থেকে স্বত:সিদ্ধভাবে প্রমাণিত হয় যে, কখনো এমন পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটতে পারে যে, বাদীর কাছে সাক্ষ্য নেই কিংবা আদালতের কাছে তার দাবি প্রমানযোগ্য হচ্ছেনা। কিন্তু বাদীর দাবি ও সাক্ষ্য আসলে সত্য। এরূপ ক্ষেত্রে তার আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করা এবং যে ধরনের সাক্ষ্যই পাওয়া যায় তা হুবুহু পেশ করা দোষের নয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির শপথ করার প্রশ্ন এ ক্ষেত্রেই উঠে। নচেৎ বাদী যদি ইপ্সিত সাক্ষ্য হাজির করে, তাহলে সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই মোকদ্দমার নিষ্পত্তি হবে। সাক্ষ্য যদি বাঞ্ছিত মানের হয় এবং গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আসামীর অব্যাহতি লাভের জন্য কসম খাওয়ার প্রশ্ন উঠবেনা। হযরত আলীর কাছে সাক্ষ্য ছিলো কি ছিলনা, আর থাকলে তা কতোটা গ্রহণযোগ্য ছিলো, তার পরিবর্তে লক্ষণীয় ও শিক্ষণীয় ব্যাপার এই যে, তিনি নিজে আপন অমুসলিম প্রজার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আদালতের শরণাপন্ন হন এবং নিজের বিরুদ্ধে দেয়া আদালতের রায়কে সন্তুষ্টচিত্তে ও হাসিমুখে মেনে নেন। আমি মনে করি, তিনি যদি নিজের পুত্র বা চাকরকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করে থাকেন এবং আদালত সেই সাক্ষীকে অগ্রাহ্য করে থাকে, তবে সেটাও ইসলামি ন্যায়নীতি ও সুবিচারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমীরুল মুমিনীন নিজের পরিবারের সদস্যকে সাক্ষী হিসেবে পেশ করছেন কেনো, এমন আপত্তি কোনো খৃস্টান আদালতে তোলেনি। বরং ক্ষমতাসীন খলিফা যে বাদী হয়ে আদালতে এলেন, আদালত তার বিরুদ্ধে একজন অমুসলিমের পক্ষে রায় দিলো, আর তিনি সে রায় নির্বিবাদে মেনে নিলেন, শুধুমাত্র এ ব্যাপারটাই অমুসলিম ব্যক্তিটির উপর এমন প্রচণ্ড নৈতিক প্রভাব বিস্তার করলো যে, সে ইসলাম গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং আজীবন হযরত আলীর রা. আনুগত্য ও তাঁর জন্য প্রয়োজনে প্রাণ বিসর্জন দেয়ার সংকল্প অটুট রেখেছেন। একজন অমুসলিম যেখানে ঘটনার এই উজ্জ্বল দিকটা বিবেচনায় রাখলেন, সেখানে আমরা মুসলমান হয়েও যদি তার ভেতরে আপত্তিকর জিনিসই খোঁজার চেষ্টা করি, তাহলে সেটা খুবই বিষ্ময়কর ব্যাপার হবে।
এ পর্যন্ত যে আলোচনা করা হলো, তা এ ঘটনার প্রকৃত ধরণ ও বিস্তৃত রূপ বুঝার জন্য যথেষ্ট। ইসলামি সাক্ষ্য আইনের ব্যাপারে মুসলমানদের বিপুল সংখ্যাগুরু অংশ এই নীতিই অবলম্বন করেছে যে , নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ স্বজনগেদর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। বর্তমানে এটা প্রায় ইজমায় (সর্বসম্মত নীতিতে) পরিণত হয়েছে এবং সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। তাই আমি এই নীতিতে সঠিক ও অগ্রগণ্য মনে করি। তবে এ ব্যাপারে যে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, তা সনদের দিক দিয়ে দুর্বল। তিরমিযী শরিফের সাক্ষ্য সংক্রান্ত অধ্যায়ের 'যাদের সাক্ষ্য বৈধ নয়' শীর্ষক হাদিসগুচ্ছ যে হাদিস উদ্ধৃত হয়েছে, তার সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী নিজেই মন্তব্য করেন যে :
"এটি একটি বিরল হাদিস। একমাত্র ইয়াযীদ বিন যিয়াদ দামেস্কীর মাধ্যমেই আমরা জানতে পারি। ইয়াযীদ একজন দুর্বল বর্ণনাকারী। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর থেকেও একই মর্মে অন্য একটি হাদিস বর্ণিত আছে। তবে তার বক্তব্য দুর্বোধ্য এবং আমার মতে তার সনদ বিশুদ্ধ নয়।" বিজ্ঞজনদের মতে সাধারণ আত্মীয় স্বজনদের সাক্ষ্য বৈধ। কেবল পিতাপুত্রের সাক্ষ্য পরস্পরের জন্য অধিকাংশ আলেমের মতে জায়েয নয়। তবে কোনো কোনো আলেমদের মতে সাক্ষী সৎ লোক হলে পিতা ও পুত্রের জন্যও জায়েয। ভাইয়ের সাক্ষ্য যে ভাইয়ের জন্য জায়েয, সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের ব্যাপারেও এই নীতি প্রযোজ্য।
ইমাম তিরমিযী স্বীয় বর্ণিত হাদিসের উপর যে বিশ্লেষণ যুক্ত করেছেন, তা থেকে বুঝা যায়, ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়ও যদি সৎ ও সত্যবাদী হয় এবং সে নিজের আত্মীয়ের পক্ষে সত্য সাক্ষ্য দেয় , তবে সেটা গুনাহ বা অপরাধের কাজ নয়। তবে সাবধানতা ও সন্দেহ সংশয় বোধের খাতিরে তা এড়িয়ে চলার উপদেশ দেয়া হয়েছে। আসামী যদি এ ধরনের সাক্ষীর বিরুদ্ধে আপত্তি জানায় তবে তার আপত্তি গ্রহণ করা হবে।
ইমাম বায়হাকীর একটি বিস্তৃত হাদিস তো আলোচনার শুরুতেই উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সাক্ষ্য সংক্রান্ত অধ্যায়ে 'যার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়' শিরোনামে তিনি আরো একটি হাদিস এনেছেন। সেটি তিরমিযী শরিফের বর্ণিত হাদিসের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি। তবে সেই সাথে তিনি বলেন : "এ বিষয়ে রসূল সা. থেকে কোনো নির্ভরযোগ্য সহীহ হাদিস বর্ণিত হয়নি।"
এ মন্তব্য থেকেও এটাই প্রতিপন্ন হয় যে, আলোচ্য বিষয়ে যে হাদিসই উদ্ধৃত হয়েছে, তার সনদ তো বেশি সবল নয়, তবে অধিকাংশ মুজতাহিদ ইমামের নিকট গৃহীহ হওয়ার কারণে এটি অনুসরণযোগ্য ও প্রচলিত হয়ে গেছে। [তরজমানুল কুরআন, জুন ১৯৭৯]
|
সর্বশেষ আপডেট ( Friday, 04 March 2011 )
|
|
|
|