আলকুরআন ও আলহাদীছে আল্লাহ্ রাববুল ‘আলামীনের সত্তা,
গুণাবলী, কুদরাত ও অধিকার সম্পর্কে অনেক কথা ছড়িয়ে আছে। সেই কথাগুলোর নিরিখে অতি
সংক্ষেপে মহান আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরার উদ্দেশ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
এ.কে.এম. নাজির আহমদ
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
আল্লাহ্ এক, অদ্বিতীয়।
আল্লাহর আববা নেই, আম্মা
নেই।
আল্লাহর স্ত্রী নেই,
পুত্র নেই, কন্যা নেই।
আল্লাহ্
তখনো ছিলেন যখন আর কেউ ছিলো না, আর কিছু ছিলো না।।
আল্লাহ্ তখনো থাকবেন যখন
আর কেউ থাকবে না, আর কিছু থাকবে না।
অর্থাৎ আল্লাহ্ চিরকাল
ছিলেন, চিরকাল আছেন, চিরকাল থাকবেন।
আল্লাহ্ ধ্বংসের
ঊর্ধ্বে।
আল্লাহ্ ছাড়া সব কিছুই
ধ্বংসশীল।
আল্লাহর
ক্ষুধা নেই, পিপাসা নেই।
আল্লাহ্ কিছু খান না।
আল্লাহ্ কিছু পান করেন
না।
আল্লাহর
তন্দ্রা নেই, নিদ্রা নেই।
আল্লাহ্ অন্যমনস্ক হন
না।
আল্লাহ্ কিছু ভুলে যান
না।
আল্লাহকে
কোন সৃষ্টি দেখতে পায় না।
কিন্তু সকল কিছু তাঁর
দৃষ্টির অধীন।
আল্লাহর দৃষ্টির বাইরে
কোন কিছুই থাকা সম্ভব নয়।
আল্লাহ্ একই সময়ে
মহাবিশ্বের সকল প্রাণী, বস্ত্ত ও শক্তি (energy) দেখতে পান।
আল্লাহ্
সব কিছুই শুনেন।
মহাবিশ্বের সর্বত্র উচ্চারিত
প্রতিটি কথা ও উত্থিত প্রতিটি আওয়াজ তিনি একই সময়ে শুনতে পান।
আল্লাহ্
একচ্ছত্র সম্রাট।
মহাবিশ্ব আল্লাহর
সাম্রাজ্য।
এই সাম্রাজ্যের
মালিকানায় ও পরিচালনায় তাঁর কোন অংশীদার নেই।
আল্লাহ্
কারো মুখাপেক্ষী নন।
প্রতিটি প্রাণী, বস্তু ও শক্তি (energy) অস্তিত্ব
লাভের জন্য ও টিকে থাকার জন্য তাঁর মুখাপেক্ষী।
আল্লাহ্
সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
মহাবিশ্বের সর্বত্র তাঁর
কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত।
আল্লাহ্
মহাজ্ঞানী।
আল্লাহর জ্ঞান সীমাহীন।
আল্লাহ্
সর্ব শক্তিমান।
আল্লাহর শক্তি সীমাহীন।
আল্লাহ্
সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা।
আল্লাহর সৃষ্টি-ক্ষমতার
শেষ নেই।
আল্লাহ্
জীবন দেন।
আল্লাহ্ মৃত্যু দেন।
আল্লাহ্ জীবিত থেকে
মৃতকে এবং মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন।
আল্লাহর
অনুমতি ছাড়া কারো ওপর বিপদ-মুছীবাত আসতে পারে না।
আল্লাহর ক্ষমতা
অ-প্রতিরোধ্য।
আল্লাহ্ যদি কারো কল্যাণ
করতে চান তাতে বাধ সাধবার শক্তি কারো নেই।
আল্লাহ্ যদি কারো
অ-কল্যাণ করতে চান তা প্রতিরোধ করার শক্তি কারো নেই।
আল্লাহ্
সর্ব-বিজয়ী, মহা পরাক্রমশালী।
আল্লাহ্ সূক্ষ্মদর্শী।
আল্লাহ্ মহাবিজ্ঞ।
আল্লাহ্
পরম দয়ালু, করুণাময়।
আল্লাহ্ শাস্তি দাতাও।
আল্লাহর পাকড়াও অত্যন্ত
কঠিন।
আল্লাহ্
সার্বভৌম সত্তা।
আদেশ-নিষেধের সর্বোচ্চ ও
চূড়ান্ত ক্ষমতা একমাত্র তাঁর।
আল্লাহর বিধানই চূড়ান্ত
আইন।
আল্লাহ্
যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন।
আল্লাহ্ যা ইচ্ছা তা-ই
সৃষ্টি করতে পারেন, করেন।
আল্লাহ্ কোন কিছু সৃষ্টি
করতে চাইলে বলেন ‘‘হও’’, আর অমনি তা হয়ে যায়।
আল্লাহ্ শূন্য থেকে বা
অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টি করতে পারেন।
আল্লাহ্
যা করেন তার জন্য কারো কাছে জওয়াবদিহি করতে হয় না।
অন্য সবাইকে তাঁর নিকট
জওয়াবদিহি করতে হয়।
আল্লাহ্
সকল মৌলিক পদার্থ সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ সকল যৌগিক
পদার্থ সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ মহাবিশ্বের
প্রতিটি অণু-পরমাণুর স্রষ্টা।
তিনি শ্রেণী মতো
পরমাণুগুলোকে সংযুক্ত কিংবা সংমিশ্রিত করে বিভিন্ন
বস্ত্তসত্তার অস্তিত্ব
গড়ে তোলেন।
আল্লাহ্
প্রথমে আসমান ও পৃথিবীকে যুক্ত অবস্থায় সৃষ্টি করেন, পরে এইগুলোকে পৃথক করে দেন।
আল্লাহ্
সময়ের ছয়টি অধ্যায়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আরশে সমাসীন হয়েছেন।
আল্লাহ্ মহাবিশ্বকে
সাতটি স্তর বা অঞ্চলে বিন্যস্ত করেছেন।
আল্লাহর নির্দেশেই আসমান
ও পৃথিবী সু-প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।
আল্লাহ্ মহাকর্ষ বল (Gravitation) সৃষ্টি
করে এর দ্বারা মহাবিশ্বের সকল কিছুকেই একটি ভারসাম্যপূর্ণ সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করে
রেখেছেন।
আল্লাহ্ মহাবিশ্বের সকল
কিছুর আকার, আয়তন ও গতিপথ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
আল্লাহ্ প্রত্যেকটি
জিনিস সৃষ্টি করে প্রত্যেকটিকে তার করণীয় জানিয়ে দিয়েছেন।
আসমান ও পৃথিবীতে যা
কিছু আছে সবই আল্লাহর ফরমানের অধীন।
আল্লাহ্ সূর্য ও চাঁদকে
এমন নিয়মের অধীন করে রেখেছেন যার ফলে পৃথিবীতে একের পর এক বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব
ঘটে, রাত দিনের আবর্তন ঘটে এবং মানুষ মাস ও বছরের হিসাব রাখতে পারে।
আল্লাহ্
আলো সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ আঁধার সৃষ্টি
করেছেন।
আল্লাহ্ ছায়া সৃষ্টি
করেছেন।
আল্লাহ্ পৃথিবী-পৃষ্ঠে
পাহাড়-পর্বত গেড়ে দিয়েছেন যাতে পৃথিবী আপন পথে চলতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে
হেলে দুলে না পড়ে।
আল্লাহ্
ভূ-পৃষ্ঠকে বাসোপযোগী ও আবাদযোগ্য বানিয়েছেন।
আল্লাহ্
পৃথিবীর চারদিকে বায়ুর একটি পুরু বেষ্টনী সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ ঘনীভূত
অক্সিজেনময় ওজোন (ozone) স্তর সৃষ্টি করে তেজষ্ক্রিয় মহাজাগতিক রশ্মিকে
ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছতে বাধাগ্রস্ত করেছেন।
আল্লাহ্
পৃথিবীকে মাটি সম্পদ, বন-সম্পদ, ঘাস-সম্পদ, উদ্ভিদ সম্পদ, লতা-গুল্ম সম্পদ, পানি
সম্পদ, সামুদ্রিক উদ্ভিদ সম্পদ, মাছ সম্পদ, পাখি সম্পদ, পশু সম্পদ, তাপ-বিদ্যুৎ
সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদি সম্পদে ভরপুর করেছেন।
আল্লাহ্ মাটির গভীরে
সোনা, রূপা, হীরা, লোহা, তামা, কয়লা, পেট্রোল, গ্যাস ইত্যাদি সম্পদ মওজুদ করে
রেখেছেন।
আল্লাহ্ ভূ-পৃষ্ঠে
গাছ-গাছালির খাদ্য হবার উপযোগী বহু জৈবিক উপাদান মওজুদ করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ পৃথিবীর মাটিকে
শস্য ফলানো, শাক-সবজি ফলানো, গাছ জন্মানো ও নানা প্রকারের গাছে নানা আকারের নানা
রঙের নানা স্বাদের ফল ফলানোর উপযোগী বানিয়েছেন।
আল্লাহ্
পৃথিবীর বুকে নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগর সৃষ্টি করে সেইগুলোকে পানির রিজার্ভারে পরিণত
করেছেন।
আল্লাহ্ নদ-নদী ও
সাগর-মহাসাগরকে অফুরন্ত মাছ সম্পদে পরিপূর্ণ করেছেন।
আল্লাহ্ সাগর-মহাসাগরের
গভীরে বিচিত্র ধরনের প্রাণী, মণি-মুক্তা, সৌন্দর্য-শোভার অন্যান্য উপকরণ ও
সামুদ্রিক উদ্ভিদ মওজুদ করে রেখেছেন।
আল্লাহ্
পানি সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে যমীনকে সিক্ত করা, প্রাণীর পিপাসা মেটানো ও
দানা-বীজকে অংকুরিত করার গুণ দান করেছেন।
আল্লাহ্
আগুন সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে তাপ ও আলো বিতরণের গুণ দান করেছেন।
আল্লাহ্
বিদ্যুৎ শক্তি সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে বিভিন্ন যন্ত্র চালানো ও বালবের ভেতর
সঞ্চালিত হয়ে আলো ছড়ানোর গুণ দান করেছেন।
আল্লাহ্
পানি থেকে বাষ্প, বাষ্প থেকে মেঘ ও মেঘ থেকে বৃষ্টি সৃষ্টি করেন।
আল্লাহর নির্দেশে বায়ু
প্রবাহিত হয়, বায়ুতে ভর করে মেঘ দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ে ও মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে।
আল্লাহ্
খাদ্য দ্রব্যে মানুষের দেহ পুষ্ট করার গুণ দান করেছেন।
আল্লাহ্ মধুসহ বিভিন্ন
দ্রব্যে রোগ নিরাময়ের গুণ দান করেছেন।
আল্লাহ্
নূর থেকে ফেরেশতাদের সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ ফেরেশতাদেরকে
তাঁর অবাধ্যতা করার ক্ষমতা দেননি।
ফেরেশতারা আল্লাহর
বিশ্বস্ত অনুগত কর্মচারী।
আল্লাহ্
আগুন থেকে জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ জিনদেরকে তাঁর
আনুগত্য করার কিংবা অবাধ্যতা করার ক্ষমতা দিয়েছেন।
আল্লাহ্
মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষদেরকে তাঁর
আনুগত্য করার কিংবা অবাধ্যতা করার ক্ষমতা দিয়েছেন।
আল্লাহ্
জিন ও মানুষদেরকে তাঁর আনুগত্য করার পুরস্কার ও অবাধ্যতা করার শাস্তি সম্পর্কে
জানিয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ্
মানুষ, বিভিন্ন প্রাণী, উদ্ভিদ ও বিদ্যুৎ কণা ইত্যাদির জুড়ি সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্
প্রথম মানুষ আদম (আ) ও তাঁর স্ত্রী হাওয়া (রা) থেকে মানুষের বংশধারা চালু করেছেন।
আল্লাহ্
মানুষকে পুরুষ ও নারী রূপে সৃষ্টি করেছেন যাতে তারা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে
পরম প্রশান্তি লাভ করতে পারে এবং সমাজ-সভ্যতা-সংস্কৃতির আসল দুর্গ পরিবার সংগঠন
গড়ে তুলতে পারে।
আল্লাহ্
পুরুষকে দুর্ধর্ষতা, সাহসিকতা, ক্ষিপ্রতা ও কঠোরতার আধিক্য দান করেছেন।
আল্লাহ্ নারীকে নম্রতা,
মায়া-মমতা ও সৌন্দর্যানুভূতির আধিক্য দান করেছেন।
আল্লাহ্
নির্দিষ্ট সংখ্যায় মানুষ ও নির্দিষ্ট পরিমাণে সম্পদ সৃষ্টি করে থাকেন।
আল্লাহ্ সকল মানুষ ও
অন্যান্য সকল প্রাণীর রিয্কের ব্যবস্থা করে থাকেন।
আল্লাহ্
মানুষকে অভাবের আশংকায় সন্তান হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষের প্রয়োজন
মেটানোর জন্য যা যা প্রয়োজন সবই সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ পৃথিবীর
সম্পদ-সম্ভার মানুষের ভোগ-ব্যবহারের জন্যই সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহর সৃষ্ট
নিয়ামাতগুলো গণনা করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।
আল্লাহ্
কাউকে বেশি অর্থ-সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন।
আল্লাহ্ কাউকে কম
অর্থ-সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন।
আল্লাহই
মানুষের আকৃতি, গায়ের রঙ, ভাষা, কণ্ঠস্বর, চলনভংগি ইত্যাদির পার্থক্য সৃষ্টি
করেছেন।
আল্লাহ্
জীবকুলের মধ্যে মানুষকে সবচে’ বেশি জ্ঞান দান করেছেন। তবে জ্ঞানময় আল্লাহর জ্ঞানের
তুলনায় এই জ্ঞান খুবই সামান্য।
আল্লাহ্
মানুষকে রূহ দান করেছেন।
আল্লাহ্ যদ্দিন রূহকে
মানুষের মাঝে অবস্থান করতে দেন তদ্দিনই মানুষ জীবিত থাকে।
আল্লাহ্
মানুষকে মস্তিষ্ক দান করেছেন।
আল্লাহ্ এটিকে
চিন্তা-ভাবনা করা, পঞ্চেন্দ্রিয়লব্ধ অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করা, বিভিন্ন বিষয়ে
পরিকল্পনা তৈরি করা ও বহু কিছু উদ্ভাবন করার যোগ্যতা দান করেছেন।
আল্লাহ্
মানুষকে হৃদপিন্ড দান করেছেন।
আল্লাহর নির্দেশে এটি
ছন্দবদ্ধভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে দেহের সর্বত্র রক্ত-সঞ্চালনের কর্তব্য পালন
করে।
আল্লাহ্
মানুষকে ফুসফুস দান করেছেন।
আল্লাহর নির্দেশে এটি
ছন্দময় প্রক্রিয়ায় রক্তে অক্সিজেন ঢুকানো ও রক্ত থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড সরানোর
কর্তব্য পালন করে।
আল্লাহ্
মানুষকে একজোড়া কিডনি দান করেছেন। এরা পানিকে পরিস্রুত করে রক্ত-রসে পরিণত করা ও
অ-প্রয়োজনীয় পানিকে বের করে দেয়ার কর্তব্য পালন করে।
আল্লাহ্
মানুষকে পাকস্থলি দান করেছেন।
এটি আহার্য দ্রব্য হজম
করে দেহ পরিপোষণের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
আল্লাহ্
যকৃত (লিভার) দান করেছেন। এটি পিত্ত ক্ষরণ করে পিত্তথলিতে জমা রাখে ও বিশেষ বিশেষ
খাদ্যকে পরিপাকের পর রক্ত স্রোতে পাঠানোর কর্তব্য পালন করে।
আল্লাহ্
গোটা দেহে বহু সংখ্যক হাড়, পেশী, কোষ, কলা, অন্ত্র, ঝিল্লি, গ্রন্থি ইত্যাদি দান
করেছেন যেইগুলো দেহকে সজীব, সুস্থ, সবল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আল্লাহ্
কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে বায়ু পাখিদেরকে উড়তে ও মানুষকে প্লেনে চড়ে দ্রুত দেশ-বিদেশে পৌঁছতে সাহায্য করে।
আল্লাহ্
কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে নদ-নদী ও সাগর-মহাসাগরের পানি জাহাজগুলোকে ভাসিয়ে রাখে
যাতে মানুষ দূর দূর স্থানে পৌঁছতে ও মালসামগ্রী আমদানী-রফতানী করতে পারে।
আল্লাহ্
কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে বাষ্প বিভিন্ন মেশিনে শক্তি সঞ্চালন করে যাতে বিভিন্ন যানে
চড়ে মানুষ দ্রুত দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে পারে।
আল্লাহ্
মানুষকে চিন্তাশক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে দেখার
শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে লেখার
শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে কথা
বলার শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে শুনার
শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে ধরার
শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে চলার
শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে
বংশবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদনের শক্তি দান করেছেন।
আল্লাহ্
মানুষকে ইচ্ছা ও কর্ম-প্রচেষ্টার স্বাধীনতা দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে অসংখ্য
সৃষ্টির ওপর কর্তৃত্ব করার ক্ষমতা দান করেছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে তাঁর
ইবাদাতের (উপাসনা-দাসত্ব-আদেশানুবর্তিতার) জন্য
সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্
একমাত্র মানুষকেই তাঁর খালীফা বা প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে খিলাফাত (আল্লাহর
প্রতিনিধিত্বশীল শাসন) কায়েম করে পূর্ণাংগ ইবাদাতের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব
দিয়েছেন।
আল্লাহর
দেয়া জীবন বিধান ইসলাম।
আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান
নির্ভুল, পূর্ণাংগ, ভারসাম্যপূর্ণ ও কল্যাণময়।
আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো
পক্ষে এমন জীবন বিধান রচনা করা সম্ভব নয়।
আল্লাহ্ নবী-রাসূলদের
মাধ্যমে ইসলামের শিক্ষা মানুষের নিকট পেশ করেছেন।
আল্লাহ্ প্রথম মানুষ
আদমকে (আ) প্রথম নবী বানিয়েছেন।
আল্লাহ্ যুগে যুগে বহু
নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন যাতে তাঁরা মানুষকে আল্লাহর ইবাদাত
(উপাসনা-দাসত্ব-আদেশানুবর্তিতা) এবং তাগুতের (আল্লাহদ্রোহী শক্তির) বিরোধিতা করার
শিক্ষা দেন।
আল্লাহ্ সর্বশেষে
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি সর্বশেষ আসমানী
কিতাব আলকুরআন নাযিল করেছেন।
আল্লাহ্ মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহকে (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলকুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ
করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
আল্লাহ্ মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহকে (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আলকুরআনের প্রায়োগিক রূপ শিক্ষা
দেবার দায়িত্ব দিয়েছেন।
আল্লাহ্ মুহাম্মাদুর
রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনুসরণকে তাঁর ভালোবাসা পাওয়ার
শর্ত বানিয়েছেন।
আল্লাহ্
মানুষকে খালীফার (প্রতিনিধির) মর্যাদা দেয়ায় হিংসা-কাতর ইবলীস ও তার অনুসারীরা
মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা চালাবার শপথ নেয়।
আল্লাহ্ ঘোষণা করেন যে
যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর আনুগত্য করে চলবে ইবলীস ও তার অনুসারীরা তাদের ওপর
প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।
আল্লাহ্
অলৌকিকভাবে কোন ভূ-খন্ডে তাঁর জীবন বিধান চালু করেন না।
আল্লাহ্ জোর করে তাঁর
জীবন বিধান কোন জনগোষ্ঠীর ওপর চাপিয়ে দেন না।
আল্লাহ্ কোন জাতির
অবস্থা পরিবর্তন করেন না যদি তারা তাদের চিন্তাধারা ও কর্মধারা পরিবর্তন না করে।
আল্লাহ্
চান, মানুষ স্বেচ্ছায় তাঁর দেয়া জীবন বিধান তাদের ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন,
সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও আন্তর্জাতিক জীবনে কায়েম করুক।
আল্লাহ্
মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধিত্বশীল শাসন কায়েম করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্
শূরা বা পরামর্শ ভিত্তিক শাসন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ যেই কোন মূল্যে
সুবিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ ভালো কাজের আদেশ
ও মন্দ কাজের প্রতিরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ অর্থ-সম্পদের অবাধ
আবর্তন, সুষম বণ্টন ও অর্থনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য সুদমুক্ত ও যাকাত
ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ ছালাত বা নামায
কায়েমের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ ছাউম বা রোযা
পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ বিত্তবানকে
যাকাত দেবার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ বিত্তবানকে হাজ
করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ তাঁর পথে অকাতরে
অর্থ-সম্পদ ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ আববা-আম্মা,
স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও অপরাপর মানুষের সাথে
সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি
রক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্
আত্মহত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্ আইনের দাবি
ব্যতিরেকে কাউকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্ অন্যের
অর্থ-সম্পদ আত্মসাৎ করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্ আমানাতের
খিয়ানাত করতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্ মাপ ও ওজনে
ঠকাতে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ্
সুদ, ঘুষ, জুয়া ও মওজুদদারী নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ চুরি-ডাকাতি
নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ অপব্যয়-অপচয়
নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ যুল্ম-অত্যাচার
নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ অহংকার নিষিদ্ধ
করেছেন।
আল্লাহ্
রিয়া নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ গীবাত নিষিদ্ধ
করেছেন।
আল্লাহ্ অপবাদ নিষিদ্ধ
করেছেন।
আল্লাহ্ মিথ্যা কথা বলা
নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ মিথ্যা সাক্ষ্য
দেয়া নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ গান-বাজনা
নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ প্রাণীর ছবি
অাঁকা নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ বিবাহ বহির্ভূত
দৈহিক সম্পর্ক নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ সকল প্রকাশ্য ও
গোপন অশ্লীল কাজ নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ প্রবৃত্তির
আনুগত্য নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্
আম্মা, দুধ মা, খালা, ফুফু, বোন, দুধ বোন, কন্যা, স্ত্রীর পূর্ব স্বামীর ঔরশজাত
কন্যা, ভাতিঝি, ভাগিনী, শ্বাশুড়ী, পুত্রবধূ, একত্রে দুই বোন, একত্রে ফুফু-ভাইঝি
এবং একত্রে খালা-বোনঝিকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ মুশরিক নারীকে
বিবাহ করা নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্
সামাজিক পবিত্রতা ও সুস্থতার জন্য আল হিজাব বা পর্দার বিধান নাযিল করেছেন।
আল্লাহ্
মদ ও মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ শর নিক্ষেপ করে
ভাগ্য গণনা নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ গণকের কথায়
বিশ্বাস স্থাপন নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ মরা পশুর গোশত,
শূকরের গোশত, রক্ত, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে যবাইকৃত পশু, কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে আহত
হয়ে ওপর থেকে পড়ে মৃত পশু, হিংস্র জন্তু কর্তৃক নিহত পশু এবং কোন বেদীতে
উৎসর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্ নখরযুক্ত ও হিংস্র
জন্তু খাওয়া নিষিদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ্
জ্ঞান অর্জন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ আলকুরআনের
আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ মহাবিশ্বকে নিয়ে
চিন্তা-গবেষণার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ হালাল জীবিকা
অন্বেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ একমাত্র তাঁকে
ভয় করে চলার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ একমাত্র তাঁর
ওপর তাওয়াক্কুল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহ্ সকল নেক কাজ
একমাত্র তাঁর সন্তোষ হাছিলের অভিপ্রায়ে (নিয়াতে) সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হবে।
এটা
আল্লাহর অধিকার যে মানুষ একনিষ্ঠভাবে তাঁর নির্দেশগুলো মেনে চলবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ আল্লাহর নিষিদ্ধ কাজগুলো পরিহার করবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষের সকল ত্যাগ-কুরবানী একমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদিত হবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষের মাথা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে নত হবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ একমাত্র আল্লাহর ওপরই ভরসা করবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ একমাত্র আল্লাহর নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ আল্লাহর আনুগত্যের সাথে সাংঘর্ষিক কোন আনুগত্য মেনে নেবে না।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করবে।
এটা
আল্লাহর অধিকার যে মানুষ আল্লাহকেই সবচে’ বেশি ভালোবাসবে।
এটা আল্লাহর অধিকার যে
মানুষ তার প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তোষ অর্জনের জন্যই করবে।
যেই
জনগোষ্ঠী স্বেচ্ছায় আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের নিরিখে তাদের গোটা সমাজ ব্যবস্থা
গড়ে তোলে আল্লাহ্ তাদের জন্য আসমান ও পৃথিবীর বারাকাতের দুয়ার খুলে দেন।
অর্থাৎ আল্লাহ্ তাদেরকে
প্রভূত কল্যাণ, উন্নতি ও সমৃদ্ধি দান করেন।
আল্লাহ্
তাঁর অনুগত বান্দাদেরকে উত্তম রিয্ক দান করেন।
আল্লাহ্ তাঁর না-ফরমান
বান্দাদেরকে পেরেশানী-যুক্ত জীবিকা দেন।
আল্লাহ্
মানুষকে ইচ্ছা ও কর্ম-প্রচেষ্টার স্বাধীনতা দিয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন করেছেন।
যেই
ব্যক্তি আল্লাহর আদেশানুবর্তী জীবন যাপন করে সে কামিয়াব।
যেই ব্যক্তি
স্বেচ্ছাচারী জীবন যাপন করে সে ব্যর্থ।
আল্লাহ্ নিজেই সকল
মানুষের কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করছেন।
আললাহ প্রত্যেক ব্যক্তির
সংগে দুইজন ফেরেশতাকে সংশ্লিষ্ট করে দিয়েছেন।
আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা
অবিরাম মানুষের সকল তৎপরতার বিবরণ লিপিবদ্ধ করে চলছেন।
আল্লাহ্ মানুষকে দুর্বল
রূপে সৃষ্টি করেন, যৌবনে তাকে শক্তিমান করেন, বার্ধক্যে আবার তাকে দুর্বলতার
শিকারে পরিণত করেন।
আল্লাহ্ প্রত্যেক ব্যক্তির
মৃত্যুক্ষণ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। সেই নির্দিষ্ট ক্ষণেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়।
দুর্ভেদ্য দুর্গের ভেতর
লুকিয়েও মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়।
আল্লাহ্
বর্তমান মহাবিশ্বকে অনন্তকালের জন্য সৃষ্টি করেন নি।
আল্লাহ্ বর্তমান
বিশ্ব-ব্যবস্থাকে ভেংগে দেয়ার জন্য একটি দিন-ক্ষণ নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।
আল্লাহর নির্দেশে সেই
দিন অন্যতম ফেরেশতা ইসরাফীল (আ) তাঁর বিশাল শিংগায় ফুঁ দেবেন।
শিংগার আওয়াজ উত্থিত
হওয়ার সংগে সংগে আসমান ও পৃথিবী থরথর করে কেঁপে উঠবে।
আল্লাহ্ যেই মহাকর্ষ
বলের (Gravitation) দ্বারা মহাবিশ্বের সব কিছুকেই পরস্পর সম্পর্কিত
রেখেছেন তা ছিন্ন করে দেবেন।
কোটি কোটি তারকা, গ্রহ,
উপগ্রহ, গ্রহাণু ইত্যাদি সব কিছু ছিটকে পড়বে। পাহাড়-পর্বত টুকরো টুকরো হয়ে উড়তে
থাকবে। সাগরগুলো উৎক্ষেপিত হবে।
আসমান, পৃথিবী ও এদের
মধ্যকার সব কিছু ভেংগে চুরমার হয়ে যাবে।
সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
একমাত্র আল্লাহই
বিদ্যমান থাকবেন।
অতঃপর
আল্লাহর নির্দেশে নতুন আকারে, নতুন বিন্যাসে মহাবিশ্ব অস্তিত
লাভ করবে।
আল্লাহর নির্দেশে বড়ো
আকারে নতুন পৃথিবী গড়ে উঠবে।
নতুন পৃথিবী হবে এক
বিশাল, সমতল, ধূসর প্রান্তর। ‘আলকাউসার’ নামে একটি জলাধার ছাড়া আর কিছু থাকবে না
সেই সুবিস্তৃত ময়দানে।
আল্লাহর অনুগ্রহে
আলকাউসারের পানি হবে দুধের মতো সাদা ও মিসকের চেয়েও বেশি সুগন্ধযুক্ত।
আল্লাহ্
প্রতিটি গলিত লাশের পরমাণুগুলোর কোনটি কোথায় অবস্থান করে একটি কিতাবে তার বিবরণ
সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করেছেন।
আল্লাহ্
মাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।
আল্লাহ্ মাটিতেই মানুষকে
ফিরিয়ে নেন।
আল্লাহ্ এই মাটি থেকেই
মানুষকে জীবিত করে উঠাবেন।
আল্লাহর
নির্দেশে ইসরাফীল (আ) আবার শিংগায় ফুঁ দেবেন।
আল্লাহর নির্দেশে সকল
মানুষ জীবিত হয়ে উঠে দাঁড়াবে এবং বিস্ময়ভরা চোখে এদিক ওদিক তাকাতে থাকবে।
আল্লাহর নূর পৃথিবীময়
ঝলমল করতে থাকবে।
প্রচন্ড উত্তাপে ও আতংকে
মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়বে।
আল্লাহর অনুগত বান্দারা
‘আলকাউসারের’ সুমিষ্ট ও শীতল পানি পান করে পিপাসা দূর করবে। যারা দুনিয়ায় আল্লাহর
অবাধ্যতা করেছে তাদেরকে আলকাউসারের’ কাছে ঘেঁষতে দেয়া হবে না।
আল্লাহর
আদালতে সারিবদ্ধভাবে মানুষ দাঁড়িয়ে যাবে।
একদিকে সারিবদ্ধভাবে
দাঁড়িয়ে যাবেন ফেরেশতারা।
আল্লাহর নির্দেশে যেইসব
ফেরেশতা মানুষের তৎপরতার বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন তাঁরা তা পেশ করবেন।
আল্লাহর নির্দেশে
প্রত্যেকের হাতে প্রত্যেকের আমলনামা তুলে দেয়া হবে।
আল্লাহর অনুগত বান্দারা
ডান হাতে তাদের আমলনামা গ্রহণ করবে।
আল্লাহর অবাধ্য বান্দারা
হাত পেছনে নিয়ে গেলেও আমলনামা হাতে নিতে
বাধ্য হবে।
আল্লাহ্ ঘোষণা করবেন :
‘তোমার আমলনামা পড়’।
প্রত্যেক ব্যক্তি দেখতে
পাবে তার কৃত প্রতিটি কাজের বিবরণ নিখুঁতভাবে নির্ভুলভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
আল্লাহ্
মানুষকে তার জীবনকাল সে কিভাবে কাটিয়েছে সেই সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্ মানুষকে তার
দেহসত্তায় যেইসব শক্তি দান করেছেন সেইগুলোর ব্যবহার (use) সম্পর্কে
জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্
মানুষকে যেই জ্ঞান দান করেছেন তার ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্ মানুষকে যেইসব
অর্থ-সম্পদ দান করেছেন তার ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্ মানুষকে যেইসব
ক্ষমতা-ইখতিয়ার দিয়েছেন সেইগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্ মানুষকে যেইসব
আদেশ-নিষেধ করেছেন সেইগুলোর পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
আল্লাহ্ মানুষকে অপরাপর
মানুষের তত্ত্বাবধান করার যেই দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ
করবেন।
আল্লাহর
নির্দেশে মানুষের হাত ও পা সাক্ষ্য দেবে তাদেরকে কোন্ কোন্ কাজে ব্যবহার করা
হয়েছে।
আল্লাহর নির্দেশে
মানুষের জিহবা, কান, চোখ ও ত্বক সাক্ষ্য দেবে তাদেরকে কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে ব্যবহার
করা হয়েছে।
আল্লাহর নির্দেশে
মানুষের অন্তর সাক্ষ্য দেবে কখন কোন্ চিন্তা তার মাঝে লালিত হয়েছে।
মানুষের
দুনিয়ার জীবনের সকল কর্মকান্ডের চুলচেরা বিশ্লেষণের পর আল্লাহ্ যাদেরকে শাস্তি
দেবার সিদ্ধান্ত নেবেন তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করার নির্দেশ দেবেন।
আল্লাহ্ যাদেরকে
পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেবেন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করার নির্দেশ দেবেন।
আল্লাহর
অনুমতি ছাড়া কেউ তাঁর কাছে কারো মুক্তির জন্য শাফাআত বা সুপারিশ করতে পারবেন না।
আল্লাহ্ যাঁকে শাফাআত
করার অনুমতি দেবেন তিনি কেবল ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে শাফাআত করতে পারবেন যার জন্য
শাফাআত করার অনুমতি দেয়া হবে।
আল্লাহর
অনুমতিক্রমে নবী-রাসূল, শহীদ ও তাঁর অন্যান্য প্রিয় বান্দারা নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের
জন্য শাফাআত করলে আল্লাহ্ অনুগ্রহ করে তা কবুল করবেন এবং তাদের মুক্তির নির্দেশ
দেবেন।
এক পর্যায়ে জাহান্নামীরা
প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী আদমের (আ) নিকট জড়ো হয়ে তাদের মুক্তির জন্য শাফাআত করার
অনুরোধ জানাবে। তিনি অপারগতা প্রকাশ করবেন।
তারা ছুটে যাবে নূহের
(আ) কাছে। তিনিও অপারগতা প্রকাশ করবেন।
তারা ছুটে যাবে
ইবরাহীমের (আ) কাছে। তিনিও অপারগতা প্রকাশ করবেন।
তারা ছুটে যাবে মূসা
ইবনু ইমরানের (আ) কাছে। তিনিও অপারগতা প্রকাশ করবেন।
তারা ছুটে যাবে ঈসা ইবনু
মারইয়ামের (আ) কাছে। তিনিও অপারগতা প্রকাশ করবেন।
তারা ছুটে যাবে
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে।
তিনি সাজদায় পড়ে আল্লাহর
তাসবীহ করতে থাকবেন।
আল্লাহ্ যতক্ষণ চাইবেন
ততক্ষণ তিনি সাজদারত থাকবেন।
আল্লাহর অনুমতিক্রমে
তিনি একদল লোকের নাজাতের জন্য শাফাআত করবেন।
আল্লাহ্ অনুগ্রহ করে
তাঁর শাফাআত কবুল করবেন।
আল্লাহর নির্দেশে তিনি
নির্দিষ্ট ব্যক্তিদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন।
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরো কিছু লোকের জন্য শাফাআত করার অনুমতি লাভের
জন্য আবার সাজদায় লুটিয়ে পড়বেন।
আল্লাহ্ যতক্ষণ চাইবেন
ততক্ষণ তিনি সাজদায় থাকবেন।
আল্লাহর অনুমতিক্রমে
তিনি আরো একদল লোকের জন্য শাফাআত করবেন।
আল্লাহ্ অনুগ্রহ করে
তাঁর শাফাআত কবুল করবেন।
আল্লাহর নির্দেশে তিনি
সেই লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন।
আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বারবার সাজদারত হয়ে শাফাআতের অনুমতি চাইতে
থাকবেন। আল্লাহ্ অনুগ্রহ করে তাঁকে একের পর এক বহু সংখ্যক মানুষকে জাহান্নাম থেকে
বের করে আনার অনুমতি দেবেন।
আল্লাহ্ সর্বশেষে
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহকে (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যাদের অন্তরে সরিষার
বীজের পরিমাণ ঈমান আছে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনার অনুমতি দেবেন।
জাহান্নামীরা
জাহান্নামে ও জান্নাতীরা জান্নাতে অবস্থান গ্রহণের পর একজন ফেরেশতা মধ্যবর্তী স্থান থেকে ঘোষণা করবেন :
‘ওহে জাহান্নামীরা, আর মৃত্যু নেই। ওহে জান্নাতীরা, আর মৃত্যু নেই। সামনে অনন্ত
জীবন।’
জাহান্নাম
কঠিন শাস্তির স্থান।
আল্লাহ্ ভয়ংকর আকৃতির
ফেরেশতাদেরকে জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য নিযুক্ত করে রেখেছেন।
আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা
অপরাধীদেরকে গলায় বেড়ি ও দেহে লোহার শিকল পেঁচিয়ে টেনে হেঁচড়ে জাহান্নামের দিকে
নিয়ে যাবে।
জাহান্নামীদেরকে
আলকাতরার পোশাক পরানো হবে।
আল্লাহ্ দুনিয়ার আগুনের
চেয়ে সত্তর গুণ বেশি তেজযুক্ত আগুন দিয়ে জাহান্নাম ভরে রেখেছেন।
ঘন শ্বাসরুদ্ধকর ঝাঁঝালো
কষ্টদায়ক ধোঁয়া জাহান্নামে আবর্তিত হতে থাকবে।
আল্লাহ্ জাহান্নামের
বিভিন্ন অংশ বিশাল আকৃতির ভয়ংকর বিষধর সাপ দিয়ে ভর্তি করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জাহান্নামীদের
দেহকে বিশাল আকৃতি দেবেন।
ফেরেশতারা ভারী গুর্জ
দিয়ে আঘাত হেনে জাহান্নামীদের দেহ ক্ষত-বিক্ষত করতে থাকবেন।
জাহান্নামীরা ভীষণ
চিৎকার করতে থাকবে।
আগুনের উত্তাপে ও
পিপাসায় তারা হাঁপাতে থাকবে।
জাহান্নামীদেরকে তাদের
দেহ-নির্গত রক্ত-পুঁজ পান করতে দেয়া হবে।
টগবগ করে ফুটছে এমন পানি
তাদেরকে পান করতে দেয়া হবে।
উত্তপ্ত তেলের গাদ
তাদেরকে পান করানো হবে।
জাহান্নামীদেরকে
কাঁটাযুক্ত, তিক্ত ও দুর্গন্ধযুক্ত যাক্কুম গাছ গিলতে বাধ্য করা হবে।
জাহান্নামীদের গায়ের
চামড়া পুড়ে কয়লা হয়ে যাবে, নতুন চামড়া জন্মাবে ও নতুনভাবে পুড়তে থাকবে।
আল্লাহ্ জাহান্নামে আরো
বহুবিধ শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
জাহান্নামে সবচে’ কম
শাস্তি যাকে দেয়া হবে তাকে আগুনের ফিতাযুক্ত একজোড়া জুতা পরানো হবে। এতে তার মাথার
মগজ চুলার ওপর হাঁড়ির পানির মতো টগবগ করে ফুটতে থাকবে।
জান্নাত
অনাবিল সুখ-শান্তির স্থান।
আল্লাহ্ তাঁর
আদেশানুবর্তী বান্দাদেরকে মেহমানের মর্যাদা দেবেন।
আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতারা
তাঁদেরকে সাদর-সম্ভাষণ জানিয়ে জান্নাতে নিয়ে যাবেন।
আল্লাহ্ সবচে’ কম
মর্যাদাবান জান্নাতীকে বর্তমান পৃথিবীর চেয়ে দশগুণ বেশি স্থান দান করবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতকে
নয়নাভিরাম বাগানময় করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতের
বাগানগুলোকে পাখ-পাখালিতে পূর্ণ করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতকে ফুলে
ফুলে পরিপূর্ণ করে রেখেছেন।
আল্লাহর নির্দেশে
জান্নাতে সুপেয় পানির ঝর্ণা, সুস্বাদু দুধের ঝর্ণা, স্বচ্ছ মধুর ঝর্ণা ও অন্যান্য
উন্নত মানের পানীয়র ঝর্ণা অবিরাম প্রবাহিত হচ্ছে।
আল্লাহ্ জান্নাতে অতি
সুস্বাদু মাছ, গোশত, রকমারি খাদ্য ও ফলের সমারোহ ঘটিয়েছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতে অনুপম
উপদানে তৈরি সুউচ্চ, সুবিস্তৃত ও সুদৃশ্য প্রাসাদ সারি সজ্জিত করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতের
প্রাসাদগুলোর মেঝেকে অতি উচ্চমানের পুরু কার্পেটে সজ্জিত করেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদের
জন্য অতীব সুন্দর ও অতীব আরামদায়ক পোশাক মওজুদ করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদের
জন্য অতীব আরামদায়ক আসন ও শয্যার ব্যবস্থা করেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতকে
আলো-ঝলমল করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতকে অগণিত
সৌন্দর্য-শোভার উপকরণে সজ্জিত করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতের
প্রতিটি বস্ত্তকে তুলনাহীন সুঘ্রাণ যুক্ত করে রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতকে
উত্তাপ ও শীতের প্রকোপ মুক্ত করে গড়েছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতের সব
কিছু জান্নাতীদের নাগালের মধ্যেই রেখেছেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদের
খিদমাতের জন্য গিলমান (চির বালকদল) মুতায়েন করে রেখেছেন।
স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে
জান্নাতী হলে আল্লাহ্ তাঁদেরকে জান্নাতেও অনন্তকালের জন্য জীবন-সাথী বানিয়ে দেবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতে পুরুষদেরকে
হুরও দেবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
ষাট হাত দৈর্ঘ্য দান করবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
চির যুবক ও চির যুবতী বানাবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
কখনো বুড়ো হতে দেবেন না।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
চিরকাল রোগমুক্ত রাখবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
যাবতীয় দৈহিক ও মানসিক অশান্তি মুক্ত রাখবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
অসাধারণ দৈহিক সৌন্দর্য দান করবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
অসাধারণ সুঘ্রাণযুক্ত করবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতে এক
বিশাল মার্কেট বানিয়ে রেখেছেন যেখানে প্রতি জুমাবার জান্নাতী পুরুষেরা একত্রিত
হবেন।
সেখানে প্রবাহিত হাওয়ার
ছোঁয়ায় তাঁদের রূপ-সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তাঁদের পোশাক থেকে নতুন সুগন্ধ
বের হতে থাকবে।
তাঁরা তাঁদের প্রাসাদে
ফিরে তাঁদের স্ত্রীদেরকেও পূর্বের চেয়ে আরো বেশি রূপ-লাবণ্যে ভরা দেখতে পাবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
এমন ক্ষমতা দেবেন যে হাজারো মাইল দূরে অবস্থিত ব্যক্তিকে তাঁরা দেখতে চাইলে দেখতে
পাবেন এবং কথা বলতে চাইলে বলতে পারবেন।
আল্লাহ্ এমন এমন বৃক্ষ
তৈরি করে রেখেছেন যার একটির শাখা-প্রশাখার নিচে একজন অশ্বারোহী একশত বছর অশ্ব
চালনা করেও তার সীমানা অতিক্রম করতে পারবেন না।
আল্লাহ্ জান্নাতীদের
জন্য এমন বাহন মওজুদ করে রেখেছেন যাতে আরোহণ করে তাঁরা গোটা বিশ্ব ভ্রমণ করতে
পারবেন।
[সম্ভবত জাহান্নামের
অংশটুকু ছাড়া মহাবিশ্বের বাকি অংশকে জান্নাতে রূপান্তরিত করা হবে।]
আল্লাহ্ পৃথিবীটাকেও
জান্নাতের অংশ বানিয়ে দেবেন।
একজন জান্নাতী যা চাইবেন
তা-ই পাবেন।
আল্লাহ্ তাঁর পক্ষ থেকে
আরো অনেক কিছু দেবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতে এমন সব
নিয়ামাত মওজুদ করে রেখেছেন যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, যার কথা কোন কান কখনো শুনেনি
এবং যার ধারণা কোন হৃদয়ে কখনো উদিত হয়নি।
আল্লাহ্ নতুন নতুন
নিয়ামাত সৃষ্টি করে জান্নাতীদেরকে উপহার দিতে থাকবেন।
আল্লাহ্ জান্নাতীদেরকে
তাঁর দর্শন দান করে ধন্য করবেন।
আল্লাহর দর্শনই হবে
জান্নাতীদের নিকট সবচে’ বেশি আনন্দের বিষয়।
আল্লাহ্
মহাশিল্পী।
আল্লাহ্ মহাবিজ্ঞানী।
আল্লাহর সৃষ্টি নৈপুণ্য
তুলনাহীন।
আল্লাহর
কোন খুঁত নেই।
আল্লাহর কোন ত্রুটি নেই।
আল্লাহর কোন অপূর্ণত্ব
নেই।
আল্লাহর কোন অপারগতা
নেই।
পৃথিবীর
সবগুলো গাছ দিয়ে যদি কলম বানানো হয়, সমুদ্রগুলোর পানির সাথে আরো সাত সমুদ্রের পানি
মিলিয়ে যদি কালি বানানো হয়, তবুও আল্লাহর কথা লিখে শেষ করা যাবে না।
আল্লাহ্
সর্বশ্রেষ্ঠ।
আল্লাহর জন্যই সকল
প্রশংসা।
আল্লাহর জন্যই সব সম্মান।
____________________________সমাপ্ত_________________বই সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য
বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
ঢাকা
প্রকাশনায়
এ কে এম নাজির আহমদ
পরিচালক
বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার
২৩০ নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫
ফোন : ৮৬২৭০৮৬, ফ্যাক্স : ৯৬৬০৬৪৭
web :
www.bicdhaka.com; E-mail : info@ bicdhaka.com
বিক্রয় বিভাগ : কাঁটাবন মসজিদ কমপ্লেক্স,
ঢাকা-১০০০
ফোন : ৮৬২৭০৮৭, ০১৭৩২৯৫৩৬৭০
গ্রন্থস্বত্ব
: লেখকের
প্রথম
প্রকাশ : অকটোবর ২০০২
পঞ্চম প্রকাশ : রজব ১৪৩২
আষাঢ়
১৪১৮
জুন
২০১১
মুদ্রণ
আল ফালাহ
প্রিন্টিং প্রেস
মগবাজার,
ঢাকা-১২১৭
বিনিময়
: পনের টাকা মাত্র
Allahr Porichaya
Written
& Published by AKM Nazir Ahmad Director Bangladesh Islamic Centre 230 New
Elephant Road Dhaka-1205 Sales & Circulation Kataban Masjid Campus
Dhaka-1000 1st Edition October 2002 5th
Edition June 2011 Price Taka 15.00 only.
|