আধুনিক যুগে ইসলামী বিপ্লব |
|
|
লিখেছেন মুহাম্মদ কামারুজ্জামান
|
Monday, 25 November 2013 |
পাতা 26 মোট 28
২৫. জনতার দাবী
আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন অন্য কথায় ইসলামী শাসন বা খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুয়াত প্রতিষ্ঠার দাবী যদি সংশ্লিষ্ট কোন দেশের জনগণের দাবীতে রূপান্তরিত না হয় তাহলে ইসলামী বিপ্লবের সাফল্য আশা করা যায় না। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশেই যেহেতু আদর্শের বক্তব্য মানুষের অর্থনৈতিক বাস্তব দাবী দাওয়ার পিছনে পড়ে গিয়েছে এবং মানুষের দুনিয়ার জীবনের সমস্যা সমাধানের বক্তব্য প্রধান্য পেয়েছে তাই ইসলামী শাসন কায়েমের দাবীকে জনতার দাবীতে পরিণত করতে হবে। সবাই এটা অনুভব করবেন যে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসনই জনগণের মুক্তির একমাত্র পথ। এ সময় জনগণকে দাবী আদায়ে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। কোন আদর্শের জন্য জনগণকে ত্যাগ স্বীকারে নামাতে পারলে আন্দোলন এগিয়ে যাবে। আন্দোলনের বক্তব্য জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও বক্তব্যে পরিণত হবে। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টির পূর্বশর্ত হিসাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার দাবীকে গণদাবীতে রূপ দিতে হবে অবশ্যই। গণদাবীকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করে গণঅভ্যূত্থান ঘটানোর পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ফলে সকল প্রকার যুলুম-নির্যাতনের অবসান ঘটবে ও ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু এ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যারা অতীতে সংগ্রাম করেছেন তাদের সামনে কোন পার্থিব ওয়াদা করা হয়নি। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের মাত্র একটি পুরস্কারের ওয়াদাই দেয়া হয়েছে। আর সে পুরস্কারটি হলো জান্নাত। নির্ভেজালভাবে জনগণকে ইসলামের জন্য অর্থাৎ তাওহীদের বাণীতে উজ্জীবিত করা না যেতো তাহলে এত বাধার পাহাড় অতিক্রম করে আন্দোলনের কাফেলায় আসতে পারতো না।
আন্দোলনের সাফল্যের জন্য যে গণঅভ্যুত্থান আমাদের চাই তা সৃষ্টি করতে হলে জনগণের হৃদয়ে ইসলামের দাবীকে একটি জীবন্ত চেতনায় পরিণত করতে হবে। নিঃস্বার্থভাবে ইসলামের ভিত্তিতে জাগ্রত জনতাই ইসলামী বিপ্লব সৃষ্টি করতে পারে। ইসলামের বিজয় তথা প্রতিষ্ঠার দাবীটিই জনতার দাবীতে পরিণত হবে।
|
সর্বশেষ আপডেট ( Saturday, 30 November 2013 )
|