লিখেছেন অধ্যাপক গোলাম আযম
|
Saturday, 14 April 2007 |
পাতা 2 মোট 26
১. কুরআন ও অন্যান্য কিতাবের মধ্যে পার্থক্য
ক. কুরআন প্রচলিত বই এর মত এক সাথে লিখিত আকারে পাঠানো হয়নি । ২৩ বছরে ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন অবস্থাকে সামনে রেখে কিছু কিছু করে বক্তৃতার আকারে নাযিল হয়েছে ।
খ. গোটা কুরআনের বিষয় ভিত্তিক কোন নাম নেই । এর সব কয়টি নামই গুণবাচক । যেমনঃ কুরআন (যা পাঠ করা হয় ,যা পড়া কর্তব্য )। ফুরকান (যা হক ও বাতিলের পার্তক্য দেখিয়ে দেয় )। নূর (যা সঠিক জ্ঞান অর্জনের যোগ্য আলো দান করে )। যিকর (যা নির্ভুল উপদেশ দান করে ,যা ভুলে যাওয়া শিক্ষা মনে করিয়ে দেয় )। আল - কিতাব (একমাত্র কিতাব যা ‘লাওহি মাহফুযে ’হিফাযত করা আছে)।
গ. ১১৪টি সূরার মধ্যে ৯টি সূরা ছাড়া ১০৫টি সূরার বিষয় ভিত্তিক নাম নেই । শুধু পরিচয়ের জন্য বিভিন্ন নাম দেয়া হয়েছে । সূরার কোন একটি শব্দ বা অক্ষর থেকেই নামকরণ করা হয়েছে ।
ঘ. নিম্নের নয়টি সূরার নাম ও আলোচ্য বিষয় একঃ
১. ৫৫নং সুরা -আর রাহমান
২. ৬৩নং সূরা -আল মুনাফেকুন
৩. ৬৫নং সূরা -আত তালাক
৪. ৭১নং সূরা -নূহ
৫. ৭২নং সূরা -জ্বিন
৬. ৭৫নং সূরা -আল কিয়ামাহ্
৭. ৯৭নং সূরা -আল কাদর
৮. ১০১নং সূরা -আল কারিয়াহ
৯. ১১২নং সূরা -আল ইখলাস
শেষ সূরাটির নাম সূরার মধ্যে নেই । এ নামটি গুণবাচক। অন্যন্য সূরার নাম যে শব্দে রাখা হয়েছে তা সূরা থেকেই নেয়া হয়েছে।
ঙ. কুরআনের ভাষা সাধারণত টেলিগ্রামের মত সংক্ষিপ্ত। যিনি পাঠিয়েছেন তিনিই এর সঠিক অর্থ জানেন। যার কাছে পাঠানো হয়েছে তাঁকেই সঠিক অর্থ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই তাঁর শেখান অর্থই একমাত্র নির্ভরযোগ্য।
|
সর্বশেষ আপডেট ( Monday, 09 November 2009 )
|