মনটাকে কাজ দিন প্রিন্ট কর ইমেল
লিখেছেন অধ্যাপক গোলাম আযম   
Saturday, 11 August 2007
আর্টিকেল সূচি
মনটাকে কাজ দিন
রাসূল (সা) এর শেখানো পথ
কুচিন্তা ও সুচিন্তা

ভূমিকা

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২৬ সেল নামক ১২ কামরা বিশিষ্ট দীর্ঘ দালানের এক নম্বর কামরায় আমার ১৬ মাসের জেল জীবন কাটাই। দিনের বেলা আমার কামরার সামনে নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে একজন সিপাই সব সময় ডিউটিরত থাকত।

সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পালাক্রমে দু'জন সিপাই ৬ ঘন্টা করে অবস্থান করত। রাতে প্রত্যেকের ৩ ঘন্টা করে ডিউটি করতে হত। দীর্ঘ ৬ ঘন্টা সময় তাদের যেভাবে কাটত তা দেখে আমার মায়াই লাগত। কখনো একটু পায়চারী করে, কোন সময় বারান্দার লোহার সিক ধরে দাঁড়িয়ে, এক সময় দেয়ালে হেলান দিয়ে, মাঝে মাঝে বসে একটু ঝিমিয়ে কোন রকম সময়টা পার করত হতো। ২৬ সেলের চাবির ছড়া হাতে ডিউটিরত অপর একজন সিপাইর সাথে গেটের সিঁড়িতে বসে আলাপ করা কালে তার সময়টা ভালই কাটত বলে মনে হয়। আমি আলাপ করলে খুব খুশি হত।

ঐ এলাকার জমাদার এ দু'জন সিপাইর সাথে গল্পরত অবস্থায় দেখলে আমি কয়েকজনকে একসাথে পেয়ে জিজ্ঞেস করতামঃ আপনারা ডিউটিতে থাকাকালে শরীরটাতো দাঁড়িয়ে, বসে বা হেঁটে সময় কাটান, কিন্তু মনটা এসময় কোথায় থাকে এবং কী করে? প্রশ্ন শুনে একে অপরের দিকে চেয়ে মুচকি হেসে আমার দিকে অসহায় চোখে তাকালে আবার ঐ প্রশ্নই করতাম। তখন একটু ভেবে পাল্টা প্রশ্ন করতঃ মনে হাজারো চিন্তা ভাবনা তোলপাড় করতে থাকে- পারিবারিক বিষয়, চাকুরীতে সমস্যা, অভাব অনটন নিয়ে দুশ্চিন্তা, আজেবাজে কত কথা যে মনে জাগে এর কি কোন হিসাব থাকে? আবার প্রশ্ন করতামঃ আচ্ছা, এসব ভাবনা-চিন্তা কি নিজে নিজেই এসে ভীড় জমায়, না সচেতনভাবে একটা একটা করে বিষয় নিয়ে ভাবেন? একটু হেসে জওয়াব দিতঃ এর কোন ঠিকানা নেই। কখন যে কোন কথা মনে হাজির হয়ে যায় তা টেরও পাওয়া যায় না।

প্রথমতঃ এদের কথা বিবেচনা করেই আমার মনে খেয়াল আসল যে মনটাকে সচেতনভাবে কাজ না দিলে শয়তান সহজেই খালি মনটাকে দখল করে বসে । শুধু পুলিশ, সিপাই, দারোয়ানের বেলায়ই নয় সবার ব্যাপারেই এ কথা সত্য। তাই মনটাকে কাজ দেবার গুরুত্ব অনুভব করে এ পুস্তিকাটি রচনা করা হয়। আমার জেলে থাকাকালে এ লেখাটি মাসিক প্রথিবীতে প্রকাশিত হয়। এখন তা পুস্তিকারে প্রকাশিত হচ্ছে। আশা করি পাঠক -পাঠিকাগণ পুস্তিকাটি পড়ে উপকৃত হবে। আল্লাহ পাক এ লেখাটির উদ্দেশ্য সফল করুন।

গোলাম আযম, আগস্ট -১৯৯৩ ইং

মনটাকে কাজ দিন

আপনার দেহকে শোয়া, বসা, দাঁড়ানো বা হাঁটানো ইত্যাদি যে অবস্থায়ই রাখুন, সকল অবস্থায়ই আপনার মন কাজ করতে থাকে। এমনকি দেহ যখন ঘুমে অচেতন থাকে তখনো মন কাজ করতে থাকে। সে ঘুমায় না। মনোবিজ্ঞানীরা স্বপ্নকে মনের কর্মব্যস্ততা বলে ব্যাখ্যা করেছেন । দেহ যখন ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়ে, মন তখন আরো সক্রিয় হয়। দেহ তখন ক্লান্ত ও হয় না, বিশ্রামও নেয়না।

মনোবিজ্ঞানীরা মনের বিশ্লেষণ এবং চেতন, অবচেতন ও অচেতন মনের ব্যাখ্যা নিয়ে ব্যাপক চর্চা করেছেন। আমার আলোচ্য বিষয় তা নয়। আমরা সবাই এর ভুক্তভোগী যে আমাদের সজাগ সচেতন পরিকল্পনা ছাড়াই মনে হাজারো কথা জাগে। সুচিন্তা, কুচিন্তা, দুশ্চিন্তা সব সময়ই মনে ভীড় করেই থাকে। গাড়িতে হোক আর বাড়িতেই হোক, চুপ করে হয়তো বসে আছেন। মন কিন্তু চুপ নয়। কত আজেবাজে, খেই ছাড়া, খেই হারা, অগণিত কথা সে বুনেই চলেছে। হাতে কাজ করছেন আর আপনার বিনা ইচ্ছায় এমন সব কথা মনে জাগছে যা হয়তো আপনি মন থেকে তাড়াতে চান। শুদ্ধ উচ্চারণে নামাযে সূরা কিরআত পড়ছেন, আর মন কোথায় যে ছুটাছুটি করছে তার হিসাব নেই। কোন কোন সময় এমন বে খেয়াল মনে জাগে যা বিবেকের নিকট লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সবই আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা।

আমরা যখন মনোযোগ দিয়ে বই পড়ি তখন বই এর আলোচ্য বিষয়ের বাইরের কোন কথা মনে ঢুকবারই ফাঁক পায় না । যখন একাগ্রচিত্তে কারো বক্তৃতা শুনি তখন অন্য কোন ভাব মনে জাগে না। যখন কোন কাজের পরিকল্পনা করতে বসি তখন মনে ভিন্ন চিন্তা স্থান পায় না । কোন বিষয়ে যখন গবেষণায় লিপ্ত তখনও বাইরের চিন্তা জাগবার সুযোগ পায় না। কোন বিশেষ ভাব যখন লিখে প্রকাশ করার চেষ্টা করি তখন ভিন্ন ভাব মনে কোন পাত্তাই পায় না। এ দ্বারা এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, মনকে সচেতনভাবে কোন কাজে ব্যস্ত রাখলে অনুগত হয়ে সে কাজ করতে থাকে। কিন্তু যখনই তাকে কোন কাজ দেয়া হয় তখন সে নিজেই কাজ যোগাড় করে নেয়। কারণ সে যে বিনা কাজে থাকতে পারেনা।

বিখ্যাত ইংরেজী প্রবাদ: “Empty mind is devil’s workshop” (শূন্য মন শয়তানের কারখানা ) কথাটি বড়ই তিক্তসত্য । অর্থাৎ মনকে কর্মহীন অবস্থায় রাখা হলে সে খালি থাকবে না। ইবলিশ তাকে কাজ দেবেই। যেহেতু সে বিনা কাজে থাকতে পারে না সেহেতু ইবলিশের দেয়া কাজই সে করতে থাকে। রাসূল (সা.) বলেছেন, মানুষ এমন এক ঘোড়া যার পিঠ কখনো খালি থাকেনা। যদি সে সব সময় আল্লাহকে তার পিঠে সওয়ার করিয়ে রাখে তাহলে সে নিরাপদ। যখনই তার পিঠ খালি হয় তখনই ইবলিশ চেপে বসে। তাই ইবলিশ থেকে বেঁচে থাকতে হলে পিঠ কখনো খালি রাখা চলব না। সকল অবস্থায় সচেতনভাবে কথা, কাজ ও চিন্তায় আল্লাহর আনুগত্য করতে থাকলে ইবলিশের আনুগত্য করার সুযোগ পায় না।

আমরা যদি আমাদের মনকে শয়তানের কারখানা হওয়ার শোচনীয় পরিণাম থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে মনটাকে হামেশা কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সচেতনভাবে তাকে সব সময় কাজ দিতে থাকব। বিনা কাজে কোন সময়ই তাকে থাকতে দেবো না।

এ কথাটা বলা যত সহজ বাস্তবে করা ততই কঠিন। এর জন্য রীতিমতো অনুশীলন ও অভ্যাস গড়ে তোলা ছাড়া সফলতা সম্ভব নয়। কিন্তু অনুশীলন ও অভ্যাসের জন্য যে নির্দেশনা দরকার তা কোথায় ও কিভাবে পাওয়া যাবে সে প্রশ্নটিই প্রধান। এত বড় একটা বিষয় নিয়ে বছর বছর চিন্তা ভাবনা করেও কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। মনকে অনুগত করার কঠিন কাজ আর নেই । যে কাজ দেবো তাই করতে হবে, আর কোন কাজ করতে দেবো না, এমন কর্তৃত্ব মনের উপর হাসিল করা অসাধ্য ব্যাপার। মনকে সব সময়ই ইতিবাচক কাজ দেবার সাধ্য কার ? ২৪ ঘন্টার জন্য এ বিষয়ে রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী মনকে পরিচালনা চরম দুঃসাধ্য সাধন বলেই আমার অভিজ্ঞতা।

মন কি চায়

মানব সত্তা বড় বিচিত্র । অনেক সময় বা কোন কোন সময় মন এমন কিছু পেতে চায় যা বিবেক সমর্থন করে না। এতে স্পষ্ট বুঝা গেল যে , মানব সত্তা একক নয়। মানুষের দুটো সত্তা রয়েছে। একটি দেহসত্তা, অপরটি নৈতিক সত্তা। দেহ হলো বস্তুসত্তা । দুনিয়াটাও বস্তুসত্তা। বস্তুজগতের কতক উপাদানেই মানব দেহ গঠিত। তাই বস্তুজগতের প্রতি মানবদেহের প্রবল আকর্ষণ থাকাই স্বাভাবিক। এ পৃথিবীতে ভোগ করার মতো যা কিছু আছে তাই দেহ পেতে চায়। দেহের মুখপাত্রই হলো মন। দেহ যা চায় তাই মনের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। সুতরাং বুঝা গেল যে, মন যা চায় তা দেহেরই দাবী।

কুরআন পাকে দেহের দাবীর নাম দেয়া হয়েছে 'নাফস'। নাফস মানে দেহের দাবী । নাফসের পরিচয় দিতে গিয়ে আল্লাহ পাক বলেনঃ 'নিশ্চয়ই নাফস মন্দের দিকে প্ররোচনা দেয়।' (সূরা ইউসুফ ৫৩ আয়াত) অর্থাৎ দেহের যেহেতু কোন নৈতিক চেতনা নেই সেহেতু সে দাবী জানাবার সময় উচিত বা অনুচিত কিনা তা বিবেচনা করতে পারে না। তাই এটা নিশ্চিতভাবে ধরেই নিতে হবে যে দেহের সব দাবীই মন্দ। অবশ্য বিবেক যদি দেহের কোন কোন দাবীকে মন্দ নয় বলে স্বীকার করে তাহলে কোন সমস্যা নেই। ভাল মন্দের বিচার কে করবে?

মানুষের বিবেক বা নৈতিক সত্তাই দেহের দাবী সম্পর্কে বিচার বিবেচনা করে। এ বিবেকই হলো আসল মানুষ। কুরআনের ভাষায় একেই বলা হয় রূহ । দেহ হলো বস্তুগত হাতিয়ার যা মানুষকে ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে। এ বস্তুজগতকে কাজে লাগাবার জন্য বস্তুগত হাতিয়ার জরুরি । কিন্তু হাতিয়ার সঠিকভাবে ব্যবহার করতে না পারলে উদ্দেশ্য সফল হয়না।

দেহ হাজারো দাবি করতে পারে। কিন্তু তাকে কষে লাগাম লাগাবার যোগ্যতা যদি রূহ বা বিবেকের থাকে তাহলে এ দেহ ঘোড়াই দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছিয়ে দেবে। ঘোড়াকে বাদ দিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ভালভাবে ঘোড়ার যত্ন নিতে হবে, ওকে সুস্থ ও সবল রাখতে হবে। কিন্তু ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণ করার যোগ্যতা না থাকলে আরোহীর জীবনই ব্যর্থ।

মনের উপর লাগাম লাগাবার উপায় কী?

এ বিষয়ে ইতিপূর্বেই মন্তব্য করেছি যে, বহু বছর চিন্তা করেও কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। কেমন করে কুল কিনারা পাব? এ সমস্যার সমাধান দেবার জন্য যে আল্লাহর রাসূল প্রয়োজন । যে সমস্যার সমাধানের জন্য আল্লাহতাআলা রাসূল পাঠাবার প্রয়োজন মনে করেছেন, সে সমস্যা আর কে সমাধান করতে পারে ? দেহযন্ত্র যে আল্লাহ তৈরী করেছেন, তিনিই এর ব্যবহার পদ্ধতি রাসূলের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। মনের উপর লাগাম লাগাবার ইচ্ছা কারো থাকলে রাসূল (সা) এর কাছ থেকেই শিখতে হবে। এর আর কোন বিকল্প নেই।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু মনীষী তাদের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, চিন্তাবিদ, রাষ্ট্রনায়ক, কবি-সাহিত্যিক, শিল্প সংগঠক, সমাজ সেবক ইত্যাদি ক্ষেত্রে যারা বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন, তারাও মনকে নিয়ন্ত্রণ করার বিজ্ঞানসম্মত বাস্তব কোন উপায় আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি। কারণ এ কাজটির জন্য গবেষণা ও সাধনা যথেষ্ট নয়। এর জন্য রিসালাত ও নবুওয়াত প্রয়োজন । নবী ও রাসূলগণ যে জ্ঞান লাভ করেন তা তাদের সাধনা ও গবেষণার ফসল নয়। তা আল্লাহর দান যা তিনি নবী-রাসূলগণকেই দিয়ে থাকেন ।

নবী-রাসূলগণের বাস্তব শিক্ষার নাগাল না পেয়ে যারা এ সমস্যার সমাধানে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তারা বৈরাগ্যের মাঝেই এর একমাত্র সমাধান তালাশ করেছেন। কিন্তু এটাতো আসলে কোন সমাধানই নয়। তারা দেহের দাবিকে অস্বীকার করে মনকে মেরেই ফেলেন । মরা ঘোড়া কী কাজে আসবে?

নবী-রাসূলগণ মানুষকে বৈরাগী বানাতে আসেননি। আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন যে 'গোটা বস্তুজগতকে তিনি মানুষের প্রয়োজনেই সৃষ্টি করেছেন' (সূরা আল বাকারাহ ২৯ আয়াত)। আর এ জগতকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যেই মানুষকে দেহযন্ত্রটি দেয়া হয়েছে। বৈরাগ্য আল্লাহর উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিরোধী। রাসূলগণ মানুষকে এ বস্তুজগত ও দেহযন্ত্রকে আল্লাহর পছন্দনীয় পন্থায় ব্যবহার করার পদ্ধতিই শিক্ষা দিয়েছেন। এ শিক্ষা সকল মানুষের পক্ষেই গ্রহণ করা সম্ভব । তাঁরা কোন অবাস্তব শিক্ষা দেননি।

বিভিন্ন ধর্মের একনিষ্ঠ সাধকগণ বৈরাগ্য সাধনের মাধ্যমে এ কথাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, দেহকে বস্তুজগতের সকল প্রকার ভোগ থেকে বঞ্চিত করা ছাড়া আত্মার বা নৈতিকতার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তারা কেবল দুনিয়ার সকল আকর্ষণ পরিত্যাগ করার মাধ্যমেই মনকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব মনে করেন। এ অবাস্তব পদ্ধতি গুটিকয়েক লোক গ্রহণ করতে পারে । এটা মানুষের প্রকৃতির বিরুদ্ধে অবাস্তব বিদ্রোহ মাত্র।

তারা ধরেই নিয়েছেন যে, বিবাহিত জীবনের স্বাদ ভোগ করে মনকে পরনারীর লোভ থেকে রক্ষা করা অসম্ভব। সুস্বাদু খাদ্য খেয়ে হারাম কামাই থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাদের এসব তিক্ত অভিজ্ঞতা অস্বীকার করার মতো নয়। রাসূলের শিক্ষা গ্রহণ করার সৌভাগ্য যাদের হয়নি তাদের পক্ষে পবিত্র জীবন লাভের উদ্দেশ্যে বৈরাগ্য সাধনের পথ বেছে নেয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই বৈরাগ্য সাধকদের প্রতি আমি অশ্রদ্ধা পোষণ করি না । রূপ, রস, গন্ধে ভরা দুনিয়ার আকর্ষণ ত্যাগ করা কোন খেলা নয়। অন্য একটি প্রবল আকর্ষণ না থাকলে এটা করা সম্ভব হতো না। অবশ্য এ পথ মানুষের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।

মুসলিম ধর্ম সাধকদের মধ্যেও এ প্রবণতা বিভিন্নরূপে লক্ষ্য করা যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুনিয়ায় আল্লাহর খেলাফত কায়েমের যে আদর্শ রেখে গেছেন সে কঠিন পথ ত্যাগ করে এবং বাতিল শক্তির সাথে সংঘর্ষ এড়িয়ে আল্লাহর অলী হবার সাধনা যারা করেন, তাদের পথ আর যাই হোক রাসূলের সত্যিকার অনুসরণ নয়।



সর্বশেষ আপডেট ( Saturday, 07 November 2009 )