লিখেছেন সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী
|
Tuesday, 27 November 2007 |
পাতা 1 মোট 11
[পুস্তিকাটি মূলত ১৯৪৫ ইংরেজী সনের ১৯ শে এপ্রিল দারুল ইসলাম পাঠানকোটে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর বার্ষিক সম্মেলনে প্রদত্ত তৎকালীন আমীরে জামায়াতে সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর ভাষণ ]
আমাদের এই শূষ্ক, নীরস ও স্বাদহীন আন্দোলন শেষ পর্যন্ত লোকের মনে আশাতীত কৌতুহল এবং উৎসাহের সৃস্টি করিতে সমর্থ হইয়াছে দেখিয়া আমরা আল্লাহ তা’আলার লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করিতেছি।
বস্তুত আমরা যে দাওয়াত লইয়া উঠিয়াছি, বর্তমান দুনিয়ার আন্দোলনের বাজারে উহা অপেক্ষা অচল পণ্য বোধ হয় আর একটি ও নাই। উপরন্তু, আমরা যে কর্মনীত গ্রহণ করিয়াছি, তাহাতেও আন্দোলনকে তীব্র গতিতে সম্প্রসারিত করার এবং জনগণকে উহার দিকে আকৃষ্ট করিয়া তুলিবার জন্য বর্তমানকালে সাধারণত যে সব উপায় -উপকরণ গ্রহণ করা হয়, তাহার একটিও বর্তমান নাই। সভার পর সভা করা, মিছিল বাহির করা, রকমারি শ্লোগান দ্বারা আকাশ-বাতাস মুখরিত করা, পতাকা উত্তোলন করা, গরম গরম বক্তৃতা দান প্রভৃতি কোন একটি জিনিসও আমাদের কর্মনীতিতে স্থান পায় নাই। * কিন্তু এতদসত্ত্বেও লক্ষ্য করেতেছি এবং ইহা দেখিয়া খোদার শোকরে হৃদয় অবনত হইয়া আসে যে, ধীরে ধীরে বহু সংখ্যক লোক আমাদের এই দাওয়াতের দিকে আকৃষ্ট হইতেছে, আমাদের এই নীরস সম্মেলনসমূহের দূরবর্তী স্থান হইতে দলে দলে লোক যোগদান করিতেছে। আমাদের দৃষ্টিতে লোকদের আকর্ষণ নিশ্চিত সত্যের স্বাভাবিক আকর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নহে । কারণ আমাদের নিকট প্রকৃত সত্য ভিন্ন লোকদের আকর্ষণ করিবার আর কোন জিনিসই নাই।
_________________________________________ *ঐ সময় একদিকে কংগ্রেসের অখণ্ড ভারত আন্দোলন ও অপরদিকে মুসলিম লীগের ভারত বিভাগ করিয়া পাকিস্তান কায়েমের আন্দোলনের প্রতিযোগিতা তীব্র আকার ধারন করে। ঐ সময় রাজনৈতিক হৈ-হাঙ্গামায় জামায়াত শরীক না হইয়া নীরবে দাওয়াত ও সংগঠনে আত্মনিয়োগ করে। তাই জামায়াত তখন মিছিল ও অন্যান্য রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করে নাই। _________________________________________
|
সর্বশেষ আপডেট ( Sunday, 08 November 2009 )
|