আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক
করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা
করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
<< সূরা তালিকাআল হাককাহ
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ
সূরার প্রথমে শব্দটিকেই এর নাম হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
এ সুরাটিরও মক্কী জীবনের প্রাথমিক যুগে অবতীর্ণ সূরাসমূহের একটি। এর বিষয়বস্তু থেকে বুঝা যায়,সূরাটি যে সময় নাযিল হয়েছিলো তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধিতা শুরু হয়েছিলো ঠিকই কিন্তু তখনো তা তেমন তীব্র হয়ে ওঠেনি। মুসনাদে আহমাদ হাদীস গ্রন্থে হযরত উমর (রা)থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেনঃ ইসলাম গ্রহণের পূর্বে একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্যে আমি বাড়ি থেকে বের হলাম। কিন্তু আমার আগেই তিনি মসজিদে হারামে পৌছে গিয়েছিলেন। আমি সেখানে পৌছে দেখলাম তিনি নামাযে সূরা আল হাক্কাহ পড়ছেন। আমি তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে গেলাম, শুনতে থাকলাম। কুরআনের বাচনভঙ্গি আমাকে বিস্ময়ে অভিভূত করে ফেলেছিলো। সহসা আমার মন বলে উঠলো, লোকটি নিশ্চয়ই কবি হবে। কুরাইশরাও তো তাই বলে। সে মহূর্তেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখে একথাগুলোর উচ্চারিত হলোঃ "এ একজন সম্মানিত রসূলের বাণী। কোন কবির কাব্য নয়।" আমি মনে মনে বললামঃ কবি না হলে গণক হবেন। তখনই পবিত্র মুখে উচ্চারিত হলোঃ "এ গণকের কথা ও নয়।তোমরা খুব কমই চিন্তা-ভাবনা করে থাকো। একথা তো বিশ্ব-জাহানের রব বা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত।" এসব কথা শোনার পর ইসলাম আমার মনের গভীরে প্রভাব বিস্তার করে বসলো। হযরত উমরের (রা) এ বর্ণনা থেকে জানা যায়, সূরাটি তাঁর ইসলাম গ্রহণের অনেক আগে নাযিল হয়েছিলো। কারণ এ ঘটনার পর বেশ কিছুকাল পর্যন্ত তিনি ইসলাম গ্রহণ করেননি। তবে বিভিন্ন সময়ের কিছু ঘটনা তাঁকে ক্রমান্বয়ে ইসলামের প্রতি আগ্রহী করে তুলছিলো। অবশেষে তাঁর মনের ওপর চূড়ান্ত আঘাত পড়ে তাঁর আপন বোনের বাড়ীতে। আর এ ঘটনাই তাকে ঈমানের মনযিলে পৌছিয়ে দেয়। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন, তাফহীমুল কোরআন, সূরা মারয়ামের ভূমিকা; সূরা ওয়াকিয়ার ভুমিকা)
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
সূরাটির প্রথম রুকূ'তে আখেরাত সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় রুকু'তে কুরআনের আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়া এবং হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে, আল্লাহর রসূল তার সত্যতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
কিয়ামত ও আখেরাতের কথা দিয়ে প্রথম রুকূ' শুরু হয়েছে। কিয়ামত ও আখেরাত এমন একটি সত্য যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। আয়াত ৪ থেকে ১২ তে বলা হয়েছে যে, যেসব জাতি আখেরাত অস্বীকার করেছে শেষ পর্যন্ত তারা আল্লাহর আযাবের উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে। অতপর ১৭ আয়াত পর্যন্ত কিয়ামত কিভাবে সংঘটিত হবে তার চিত্র পেশ করা হয়েছে। যে উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ দুনিয়ার বর্তমান জীবন শেষ হওয়ার পর মানুষের জন্য আরেকটি জীবনের ব্যবস্থা করেছেন ১৮ থেকে ২৭ আয়াতে সে মূল উদ্দেশ্যটি বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে , সেদিন সব মানুষ তার রবের আদালতের হাজির হবে। সেখানে তাদের কোন বিষয়ই গোপন থাকবে না। প্রত্যেকের আমলনামা তার নিজের হাতে দিয়ে দেয়া হবে। পৃথিবীতে যারা এ উপলব্দি ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে জীবন যাপন করেছিলো যে, একদিন তাদেরকে আল্লাহর কাছে নিজ নিজ কাজের হিসেব দিতে হবে, যারা দুনিয়ার জীবনে নেকী ও কল্যাণের কাজ করে আখেরাতের কল্যাণ লাভের জন্য অগ্রীম ব্যবস্থা করে রেখেছিলো তার সেদিন নিজের হিসেব পরিষ্কার ও নিরঝঞ্ঝাট দেখে আনন্দিত হবে। পক্ষান্তরে যেসব লোক আল্লাহ তা'আলার হকেরও পারোয়া করেনি, বান্দার হকও আদায় করেনি, তাদেরকে আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা করার মত কেউ থাকবে না। তারা জাহান্নামের আযাব ভোগ করতে থাকবে।
দ্বিতীয় রুকূ'তে মক্কার কাফেরদেরকে বলা হয়েছে। এ কুরআনকে তোমরা কবির কাব্য ও গণকের গণনা বলে আখ্যায়িত করছো। অথচ তা আল্লাহর নাযিলকৃত বাণী। তা উচ্চারিত হচ্ছে একজন সম্মানিত মুখ থেকে। এ বাণীর মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে একটি শব্দও হ্রাস বা বৃদ্ধি করার ইখতিয়ার রসূলের নেই। তিনি যদি এর মধ্যে তাঁর মনগড়া কোন কথা শামিল করে দেন তাহলে আমি তার ঘাড়ের শিরা (অথবা হৃদপিণ্ডের শিরা) কেটে দেবো। এ একটি নিশ্চিত সত্য বাণী। যারাই এ বাণীকে মিথ্যা বলবে শেষ পর্যন্ত তাদের অনুশোচনা করতে হবে।
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ الْحَاقَّةُ﴾ ১) অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটি ৷ ১  
﴿مَا الْحَاقَّةُ﴾ ২) কি সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটি?  
﴿وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحَاقَّةُ﴾ ৩) তুমি কি জান সে অবশ্যম্ভাবী ঘটনাটি কি? ২  
﴿كَذَّبَتْ ثَمُودُ وَعَادٌ بِالْقَارِعَةِ﴾ ৪) সামুদ ৩   ও আদ আকস্মিকভাবে সংঘটিতব্য সে মহা ঘটনাকে ৪   অস্বীকার করেছিলো  
﴿فَأَمَّا ثَمُودُ فَأُهْلِكُوا بِالطَّاغِيَةِ﴾ ৫) তাই সামূদকে একটি কঠিন মহা বিপদ ৫   দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে৷  
﴿وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوا بِرِيحٍ صَرْصَرٍ عَاتِيَةٍ﴾ ৬) আর আদকে কঠিন ঝঞ্ঝাবাত্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে৷  
﴿سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا فَتَرَى الْقَوْمَ فِيهَا صَرْعَىٰ كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ﴾ ৭) যা তিন সাত রাত ও আট দিন ধরে বিরামহীনভাবে তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন৷ (তুমি সেখানে থাকলে ) দেখতে পেতে তারা ভূলণ্ঠিত হয়ে পড়ে আছে যেন খেজুরের পুরানো কাণ্ড৷  
﴿فَهَلْ تَرَىٰ لَهُم مِّن بَاقِيَةٍ﴾ ৮) তুমি তাদের কাউকে অবশিষ্ট দেখতে পাচ্ছো কি?  
﴿وَجَاءَ فِرْعَوْنُ وَمَن قَبْلَهُ وَالْمُؤْتَفِكَاتُ بِالْخَاطِئَةِ﴾ ৯) ফেরাউন, তার পূর্ববর্তী লোকেরা এবং উলটপালট হয়ে যাওয়া জনপদসমূহও ৬   একই মহা অপরাধে অপরাধী হয়েছিলো৷  
﴿فَعَصَوْا رَسُولَ رَبِّهِمْ فَأَخَذَهُمْ أَخْذَةً رَّابِيَةً﴾ ১০) তারা সবাই তাদের রবের প্রেরিত রসূলের কথা অমান্য করেছিল৷ তাই তিনি তাদের অত্যন্ত কঠোরভাবে পাকড়াও করেছিলেন৷  
﴿إِنَّا لَمَّا طَغَى الْمَاءُ حَمَلْنَاكُمْ فِي الْجَارِيَةِ﴾ ১১) যে সময় পানির তুফান সীমা অতিক্রম করলো ৭   তখন আমি তোমাদেরকে জাহাজে সওয়াব করিয়েছিলাম ৮  
﴿لِنَجْعَلَهَا لَكُمْ تَذْكِرَةً وَتَعِيَهَا أُذُنٌ وَاعِيَةٌ﴾ ১২) যাতে এ ঘটনাকে আমি তোমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় স্মৃতি বানিয়ে দেই যেন স্বরণকারী কান তা সংরক্ষণ করে৷ ৯  
﴿فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ نَفْخَةٌ وَاحِدَةٌ﴾ ১৩) অতপর ১০   যে সময় শিংগায় ফূৎকার দেয়া হবে-  
﴿وَحُمِلَتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَاحِدَةً﴾ ১৪) একটি মাত্র ফুৎকার৷আর পাহাড়সহ পৃথিবীকে উঠিয়ে একটি আঘাতেই চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয়া হবে৷  
﴿فَيَوْمَئِذٍ وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ﴾ ১৫) সেদিন সে মহা ঘটনা সংঘটিত হয়ে যাবে৷  
﴿وَانشَقَّتِ السَّمَاءُ فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ﴾ ১৬) সেদিন আসমান চৌচির হয়ে যাবে এবং তার বন্ধন শিথিল হয়ে পড়বে৷  
﴿وَالْمَلَكُ عَلَىٰ أَرْجَائِهَا ۚ وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ﴾ ১৭) ফেরেশতারা এর প্রান্ত সীমায় অবস্থান করবে৷ সেদিন আটজন ফেরেশতা তাদের ওপরে তোমার রবের আরশ বহন করবে৷ ১১  
﴿يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لَا تَخْفَىٰ مِنكُمْ خَافِيَةٌ﴾ ১৮) সেদিনটিতে তোমাদেরকে পেশ করা হবে৷ তোমাদের কোন গোপনীয় বিষয়ই আর সেদিন গোপন থাকবে না৷  
﴿فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَيَقُولُ هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ﴾ ১৯) সে সময় যাকে তার আমলনামা ডান হতে দেয়া হবে, ১২   সে বলবেঃ নাও, আমার আমলনামা পড়ে দেখো৷ ১৩  
﴿إِنِّي ظَنَنتُ أَنِّي مُلَاقٍ حِسَابِيَهْ﴾ ২০) আমি জানতাম, আমাকে হিসেবের সম্মুখীন হতে হবে৷ ১৪  
﴿فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَّاضِيَةٍ﴾ ২১) তাই সে মনের মত আরাম আয়েশের মধ্যে থাকবে৷  
﴿فِي جَنَّةٍ عَالِيَةٍ﴾ ২২) উন্নত মর্যাদার জান্নাতে৷  
﴿قُطُوفُهَا دَانِيَةٌ﴾ ২৩) যার ফলের গুচ্ছসমূহ নাগালের সীমায় অবনমিত হয়ে থাকবে  
﴿كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا أَسْلَفْتُمْ فِي الْأَيَّامِ الْخَالِيَةِ﴾ ২৪) (এসব লোকদের কে বলা হবেঃ) অতীত দিনগুলোতে তোমরা যা করে এসেছো তার বিনিময়ে তোমরা তৃপ্তির সাথে খাও এবং পান করো৷  
﴿وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِشِمَالِهِ فَيَقُولُ يَا لَيْتَنِي لَمْ أُوتَ كِتَابِيَهْ﴾ ২৫) আর যার আমলনামা তার বাঁ হাতে দেয়া হবে ১৫   সে বলবেঃ হায়! আমার আমলনামা যদি আমাকে আদৌ দেয়া না হতো ১৬  
﴿وَلَمْ أَدْرِ مَا حِسَابِيَهْ﴾ ২৬) এবং আমার হিসেব যদি আমি আদৌ না জানতাম তাহলে কতই না ভাল হত৷ ১৭  
﴿يَا لَيْتَهَا كَانَتِ الْقَاضِيَةَ﴾ ২৭) হায়! আমার সেই মৃত্যুই (যা দুনিয়াতে এসেছিলো) যদি চূড়ান্ত হতো৷ ১৮  
﴿مَا أَغْنَىٰ عَنِّي مَالِيَهْ ۜ﴾ ২৮) আজ আমার অর্থ-সম্পদ কোন কাজে আসলো না৷  
﴿هَلَكَ عَنِّي سُلْطَانِيَهْ﴾ ২৯) আমার সব ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিনাশ প্রাপ্ত হয়েছে৷ ১৯  
﴿خُذُوهُ فَغُلُّوهُ﴾ ৩০) (আদেশ দেয়া হবে) পাকড়াও করো ওকে আর ওর গলায় বেড়ি পরিয়ে দাও৷  
﴿ثُمَّ الْجَحِيمَ صَلُّوهُ﴾ ৩১) তারপর জাহান্নামে নিক্ষেপ করো৷  
﴿ثُمَّ فِي سِلْسِلَةٍ ذَرْعُهَا سَبْعُونَ ذِرَاعًا فَاسْلُكُوهُ﴾ ৩২) এবং সত্তর হাত লম্বা শিকল দিয়ে বেঁধে ফেলো৷  
﴿إِنَّهُ كَانَ لَا يُؤْمِنُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ﴾ ৩৩) সে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান পোষণ করতো না  
﴿وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ﴾ ৩৪) এবং দুস্থ মানুষের খাদ্য দিতে উৎসাহিত করতো না৷ ২০  
﴿فَلَيْسَ لَهُ الْيَوْمَ هَاهُنَا حَمِيمٌ﴾ ৩৫) তাই আজকে এখানে তার সমব্যথী কোন বন্ধু নেই৷  
﴿وَلَا طَعَامٌ إِلَّا مِنْ غِسْلِينٍ﴾ ৩৬) আর কোন খাদ্যও নেই ক্ষত নিসৃত পূঁজ-রক্ত ছাড়া৷  
﴿لَّا يَأْكُلُهُ إِلَّا الْخَاطِئُونَ﴾ ৩৭) যা পাপীরা ছাড়া আর কেউ খাবে না৷  
﴿فَلَا أُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُونَ﴾ ৩৮) অতএব তা নয়৷ ২১   আমি শপথ করছি ঐ সব জিনিসের ও যা তোমরা দেখতে পাও  
﴿وَمَا لَا تُبْصِرُونَ﴾ ৩৯) এবং ঐসব জিনিসের যা তোমরা দেখতে পাওনা৷  
﴿إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ﴾ ৪০) এটা একজন সম্মানিত রসূলের বাণী ২২  
﴿وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرٍ ۚ قَلِيلًا مَّا تُؤْمِنُونَ﴾ ৪১) কোন কবির কাব্য নয়৷ তোমরা খুব কমই ঈমান পোষণ করে থাকো৷ ২৩  
﴿وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ ۚ قَلِيلًا مَّا تَذَكَّرُونَ﴾ ৪২) আর এটা কোন গণকের গণনাও নয়৷ তোমরা খুব কমই চিন্তা-ভাবনা করে থাকো৷  
﴿تَنزِيلٌ مِّن رَّبِّ الْعَالَمِينَ﴾ ৪৩) এ বাণী বিশ্ব-জাহানের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত৷ ২৪  
﴿وَلَوْ تَقَوَّلَ عَلَيْنَا بَعْضَ الْأَقَاوِيلِ﴾ ৪৪) যদি এ নবী নিজে কোন কথা বানিয়ে আমার কথা বলে চালিয়ে দিতো  
﴿لَأَخَذْنَا مِنْهُ بِالْيَمِينِ﴾ ৪৫) তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম  
﴿ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِينَ﴾ ৪৬) এবং ঘাড়ের রগ কেটে দিতাম৷  
﴿فَمَا مِنكُم مِّنْ أَحَدٍ عَنْهُ حَاجِزِينَ﴾ ৪৭) তোমাদের কেউ-ই (আমাকে ) এ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারতো না৷ ২৫  
﴿وَإِنَّهُ لَتَذْكِرَةٌ لِّلْمُتَّقِينَ﴾ ৪৮) আসলে এটি আল্লাহভীরু লোকদের জন্য একটি নসীহত৷ ২৬  
﴿وَإِنَّا لَنَعْلَمُ أَنَّ مِنكُم مُّكَذِّبِينَ﴾ ৪৯) আমি জানি তোমাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোক মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকবে৷  
﴿وَإِنَّهُ لَحَسْرَةٌ عَلَى الْكَافِرِينَ﴾ ৫০) নিশ্চিতভাবে তা এসব কাফেরদের জন্য অনুতাপ ও আফসোসের ২৭   কারণ হবে৷  
﴿وَإِنَّهُ لَحَقُّ الْيَقِينِ﴾ ৫১) এটি অবশ্যই এক নিশ্চিত সত্য৷  
﴿فَسَبِّحْ بِاسْمِ رَبِّكَ الْعَظِيمِ﴾ ৫২) অতএব হে নবী, তুমি তোমার মহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করো৷  
|