আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক
করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা
করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
<< সূরা তালিকাআত তূর
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ
সূরার প্রথম শব্দ ওয়াত্ তূর থেকে এর নাম গ্রহীত হয়েছে ।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল
বিষয়বস্তুর আভ্যন্তরীণ সাক্ষ-প্রমাণ থেকে বুঝা যায়, মক্কী জীবনের যে যুগে সূরা আয যারিয়াত নাযিল হয়েছিলো এ সূরাটিও সে যুগে নাযিল হয়েছিল । সূরাটি পড়তে গিয়ে একথা অবশ্যই মনে হয় যে, এটি নাযিল হওয়ার সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, তবে তখনও চরম জুলুম-অত্যাচার শুরু হয়েছিল বলে মনে হয় না ।
বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য
এ সূরার প্রথম রূকু’র বিষয়বস্তু আখেরাত । সূরা যারিয়াতে এর সম্ভবনা , অবশ্যম্ভাবিতা এবং সংঘটিত হওয়ার প্রমাণাদি পেশ করা হয়েছিলো । সে জন্য এখানে তার পুনরাবৃত্তি করা হয়নি । তবে আখেরাত প্রমাণাকারী কয়েকটি বাস্তব সত্য ও নির্দেশনের শপথ করে অত্যন্ত জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, তা নিশ্চিতভাবেই সংঘটিত হবে এবং তার সংঘটন রোধ করতে পারে এ শক্তি করো নেই । এরপর বলা হয়েছে তা সংঘটিত হলে তার অস্বীকারকারীদের পরিণাম কি হবে এবং তা বিশ্বাস করে তাকওয়ার নীতি অবলম্বনকারীগণ আল্লাহ তা’আলার নিয়ামত দ্বারা কিভাবে পুরস্কৃত হবেন ।
এরপর কুরাইশ নেতারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াত ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে নীতি অনুসরণ করে চলছিল দ্বিতীয় রুকূ’তে তার সমালোচনা করা হয়েছে । কখণো তারা নবীকে ( সা) গণক, কখনো পাগল, কখনো কবি বলে আখ্যায়িত করে সাধারণ মানুষকে তাঁর বিরুদ্ধে বিভ্রান্ত করতো যাতে মানুষ তাঁর আনীত বাণীর প্রতি ধীর ও সুস্থ মস্তিষ্কে মনোযোগ না দেয় । নবীকে ( সা) তারা নিজেদের জন্য একটি মহা বিপদ বলে মনে করতো এবং প্রকাশ্যেই বলতো, তার ওপর কোন বিপদ আপতিত হলে আমরা তার হাত থেকে বেঁচে যেতাম । তারা তাঁর বিরুদ্ধে এ বলে অভিযোগ করতো যে, এ কুরআন তিনি নিজেই রচনা করেছেন এবং আল্লাহর নামে পেশ করেছেন । তাই তিনি যা করেছেন তা ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয় । তারা বার বার উপহাস করে বলতো নবুওয়াত দানের জন্য আল্লাহ তা’আলা এ ব্যক্তিকে ছাড়া আর মানুষ খুঁজে পাননি । তারা তাঁর ইসলামী আন্দোলন ও তা প্রচারের বিরুদ্ধে এতই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতো যে, তিনি যেন কিছু চাওয়ার জন্য তাদের পিছু লেগে রয়েছেন আর তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য তাঁর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে । তারা নিজেরা বসে বসে চিন্তা করতো, তাঁর বিরুদ্ধে কি চক্রান্ত করলে তাঁর এ আন্দোলন ধ্বংস হয়ে যাবে । আর এসব করতে গিয়ে তারা কি ধরনের জাহেলী ও কুসংস্কারমূলক আকীদা-বিশ্বাস আঁকড়ে ধরে আছে যার গভীর অন্ধকার থেকে মানুষকে উদ্ধার করার জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পূর্ণ নিস্বার্থভাবে নিজের জীবনপাত করেছেন সে সম্পর্কে যেন অনুভূতিই তাদের ছিলনা । আল্লাহ তা’আলা তাদের এ আচরণের সমালোচনা করে পরপর কয়েকটি প্রশ্ন করেছেন । এসব প্রশ্নের প্রতিটি হয় তাদের কোন অভিযোগের জবাব, নয়তো তাদের কোন মুর্খতা বা কুসংস্কারের সমালোচনা । এরপর বলা হয়েছে, ঐ লোকদেরকে আপনার নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাস, বানানোর জন্য কোন মু’জিযা দেখানো একেবারেই অর্থহীন । কারণ এরা এমন একগুঁয়ে যে, তাদেরকে যাই দেখানো হোক না কেন এরা তার অন্য কোন ব্যাখ্যা করে পাশ কাটিয়ে যাবে এবং ঈমান গ্রহণ করবে না ।
এ রুকূ’র শুরুতেও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, এসব বিরোধী শক্তি ও শত্রুদের অভিযোগ ও সমালোচনার তোয়াক্কা না করে তিনি যেন নিজের আন্দোলন ও উপদেশ-নসীহতের কাজ ক্রমাগত চালিয়ে যেতে থাকেন । রুকূ’র শেষাংশে তাঁকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি যেন অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত এসব বিরোধিতার মোকাবিলা করতে থাকেন । এর সাথে সাথে তাকে এই বলে সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে যে, তাঁর প্রভু তাঁকে শত্রুদের মোকাবিলায় দাঁড় করিয়ে দিয়ে অসহায় ছেড়ে দেননি । বরং সবসময় তিনি তাঁর তদারক ও তত্বাবধান করেছেন । তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময় না আসা পর্যন্ত আপনি সবকিছুর বরদাশত করতে থাকুন এবং নিজ প্রভুর ‘হামদ ও তাসবীহ’ অর্থাৎ প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করে সেই শক্তি অর্জন করুন যা এরূপ পরিস্থিতিতে আল্লাহর কাজ করার জন্য দরকার হয় ।
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ وَالطُّورِ﴾ ১) তূরের ১ শপথ  
﴿وَكِتَابٍ مَّسْطُورٍ﴾ ২) এবং এমন একখানা খোলা গ্রন্থের শপথ  
﴿فِي رَقٍّ مَّنشُورٍ﴾ ৩) যা সুক্ষ্ম চামড়ার ওপর লিখিত৷ ২ 
﴿وَالْبَيْتِ الْمَعْمُورِ﴾ ৪) আর শপথ আবাদ ঘরের,৩ 
﴿وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ﴾ ৫) সুউচ্চ ছাদের ৪ 
﴿وَالْبَحْرِ الْمَسْجُورِ﴾ ৬) এবং তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ সমুদ্রের৷৫ 
﴿إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌ﴾ ৭) তোমার রবেরর আযাব অবশ্যই আপতিত হবে৷  
﴿مَّا لَهُ مِن دَافِعٍ﴾ ৮) যার রোধকারী কেউ নেই৷ ৬ 
﴿يَوْمَ تَمُورُ السَّمَاءُ مَوْرًا﴾ ৯) তা ঘটবে সেদিন, দেনি আসমান প্রচণ্ডভাবে দুলিত হবে ৭ 
﴿وَتَسِيرُ الْجِبَالُ سَيْرًا﴾ ১০) এবং পাহাড় শূন্যে উড়তে থাকবে৷ ৮ 
﴿فَوَيْلٌ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُكَذِّبِينَ﴾ ১১) ধ্বংস রয়েছে সেদিন সেসব অস্বীকারকারীদের জন্য  
﴿الَّذِينَ هُمْ فِي خَوْضٍ يَلْعَبُونَ﴾ ১২) যারা আজ, তামাসাচ্ছলে নিজেদের যুক্তি-প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যস্ত আছে৷ ৯ 
﴿يَوْمَ يُدَعُّونَ إِلَىٰ نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا﴾ ১৩) যেদিন তাদের ধাক্কা দিতে দিতে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে  
﴿هَٰذِهِ النَّارُ الَّتِي كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ﴾ ১৪) সেদিন তাদের বলা হবে এতো সেই আগুন যা তোমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে৷  
﴿أَفَسِحْرٌ هَٰذَا أَمْ أَنتُمْ لَا تُبْصِرُونَ﴾ ১৫) এখন বলো, এটা কি যাদু না এখানো তোমরা উপলব্ধি করতে পারছো না ?১০ 
﴿اصْلَوْهَا فَاصْبِرُوا أَوْ لَا تَصْبِرُوا سَوَاءٌ عَلَيْكُمْ ۖ إِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾ ১৬) যাও, এখন এর মধ্যে ঢুকে দগ্ধ হতে থাকো৷ তোমরা ধৈর্য্য ধর আর না ধর, এখন উভয়টিই তোমাদের জন্য সমান৷ তোমরা যেমন কাজ করে এসেছো ঠিক তেমন প্রতিদানই তোমাদের দেয়া হচ্ছে৷  
﴿إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَنَعِيمٍ﴾ ১৭) মুত্তাকীরা ১১ সেখানে বাগান ও নিয়ামতসমূহের মধ্যে অবস্থান করবে  
﴿فَاكِهِينَ بِمَا آتَاهُمْ رَبُّهُمْ وَوَقَاهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ﴾ ১৮) এবং তাদের রব তাদের যা কিছু দান করবেন তা মজা করে উপভোগ করতে থাকবে৷ আর তাদের রব তাদেরকে দোযখের আযাব থেকে বাঁচিয়ে নেবেন৷ ১২ 
﴿كُلُوا وَاشْرَبُوا هَنِيئًا بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ﴾ ১৯) (তাদেরকে বলা হবে) তোমরা যেসব কাজ করে এসেছো তার বিনিময়ে মজা করে পানাহার করো৷১৩ 
﴿مُتَّكِئِينَ عَلَىٰ سُرُرٍ مَّصْفُوفَةٍ ۖ وَزَوَّجْنَاهُم بِحُورٍ عِينٍ﴾ ২০) তারা সামনাসামনি রাখা সুসজ্জিত আসনসমূহে হেলান দিয়ে বসবে এবং আমি সুনয়না হুরদের তাদের বিয়ে দেব৷ ১৪ 
﴿وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّيَّتُهُم بِإِيمَانٍ أَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَمَا أَلَتْنَاهُم مِّنْ عَمَلِهِم مِّن شَيْءٍ ۚ كُلُّ امْرِئٍ بِمَا كَسَبَ رَهِينٌ﴾ ২১) যারা ঈমান গ্রহণ করেছ এবং তাদের সন্তানরাও ঈমানসহ তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছে আমি তাদের সেসব সন্তানকেও তাদের সাথে (জান্নাতে) একত্রিত করে দেব৷ আর তাদের আমলের কোন ঘাটতি আমি তাদেরকে দেব না৷ ১৫ প্রত্যেক ব্যক্তি তার উপার্জিত কর্মের হাতে জিম্মী রয়েছে৷ ১৬ 
﴿وَأَمْدَدْنَاهُم بِفَاكِهَةٍ وَلَحْمٍ مِّمَّا يَشْتَهُونَ﴾ ২২) আমি তাদেরকে সব রকমের ফল, গোশত ১৭ এবং তাদের মন যা চাইবে তাই প্রচুর পরিমাণে দিতে থাকবো৷  
﴿يَتَنَازَعُونَ فِيهَا كَأْسًا لَّا لَغْوٌ فِيهَا وَلَا تَأْثِيمٌ﴾ ২৩) তারা সেখানে পরস্পরের নিকট থেকে ক্ষিপ্ততার সাথে শরাব পাত্র গ্রহণ করতে থাকবে৷ কিন্তু সেখানে কোন অপ্রয়োজনীয় কথা থাকবে না এবং থাকবে না কোন চরিত্রহীনতা৷১৮ 
﴿وَيَطُوفُ عَلَيْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَأَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُونٌ﴾ ২৪) তাদের সেবার জন্য সেসব বালকেরা ছুটাছুটি করতে থাকবে যারা কেবল তাদের জন্য নির্দিষ্ট হবে ১৯ তারা এমন সুদর্শন যেন সযত্নে লুকেয়ে রাখা মোতি৷  
﴿وَأَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلَىٰ بَعْضٍ يَتَسَاءَلُونَ﴾ ২৫) তারা একে অপরকে (পৃথিবীতে অতিবাহিত) অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে৷  
﴿قَالُوا إِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِي أَهْلِنَا مُشْفِقِينَ﴾ ২৬) তারা বলবে আমরা প্রথমে নিজের পরিবারের লোকদের মধ্যে ভয়ে ভয়ে জীবন যাপন করতাম৷ ২০ 
﴿فَمَنَّ اللَّهُ عَلَيْنَا وَوَقَانَا عَذَابَ السَّمُومِ﴾ ২৭) পরিশেষে আল্লাহ আমাদের ওপর মেহেরবানী করেছেন এবং দগ্ধকারী ২১ আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন৷  
﴿إِنَّا كُنَّا مِن قَبْلُ نَدْعُوهُ ۖ إِنَّهُ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِيمُ﴾ ২৮) অতীত জীবনে আমরা তাঁর কাছেই দোয়া করতাম সত্যিই তিনি অতি বড় উপকারী ও দয়াবান৷  
﴿فَذَكِّرْ فَمَا أَنتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَلَا مَجْنُونٍ﴾ ২৯) . তাই হে নবী (সা), তুমি উপদেশ দিতে থাক৷ আল্লাহর মেহেরবাণীতে তুমি গণকও নও, পাগলও নও৷২২ 
﴿أَمْ يَقُولُونَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهِ رَيْبَ الْمَنُونِ﴾ ৩০) এসব লোক কি বলে যে, এ ব্যক্তি কবি, যার ব্যাপারে আমরা কালের আবর্তনের অপেক্ষা করছি৷ ২৩ 
﴿قُلْ تَرَبَّصُوا فَإِنِّي مَعَكُم مِّنَ الْمُتَرَبِّصِينَ﴾ ৩১) তাদেরকে বলো, ঠিক আছে অপেক্ষা করতে থাক, আমিও তোমাদের সাথে অপেক্ষা করছি৷ ২৪ 
﴿أَمْ تَأْمُرُهُمْ أَحْلَامُهُم بِهَٰذَا ۚ أَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُونَ﴾ ৩২) তাদের বিবেক-বুদ্ধি কি তাদেরকে এসব কথা বলতে প্ররোচিত করে, না কি প্রকৃতপক্ষে তারা শত্রুতায় সীমালংঘনকারী লোক ?২৫ 
﴿أَمْ يَقُولُونَ تَقَوَّلَهُ ۚ بَل لَّا يُؤْمِنُونَ﴾ ৩৩) তারা কি বলে যে, এ ব্যক্তি নিজেই কুরআন রচনা করে নিয়েছে? প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে তারা ঈমান গ্রহণ করতে চায় না৷ ২৬ 
﴿فَلْيَأْتُوا بِحَدِيثٍ مِّثْلِهِ إِن كَانُوا صَادِقِينَ﴾ ৩৪) তাদের একথার ব্যাপারে তারা যদি সত্যবাদী হয় তাহলে এ বাণীর মত একটি বাণী তৈরি করে আনুক৷২৭ 
﴿أَمْ خُلِقُوا مِنْ غَيْرِ شَيْءٍ أَمْ هُمُ الْخَالِقُونَ﴾ ৩৫) কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া এরা কি নিজেরাই সৃষ্টি হয়েছে ? না কি এরা নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টিকর্তা?  
﴿أَمْ خَلَقُوا السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۚ بَل لَّا يُوقِنُونَ﴾ ৩৬) না কি পৃথিবী ও আসমানকে এরাই সৃষ্টি করেছে ? প্রকৃত ব্যাপার হলো, তারা বিশ্বাস পোষণ করে না৷২৮ 
﴿أَمْ عِندَهُمْ خَزَائِنُ رَبِّكَ أَمْ هُمُ الْمُصَيْطِرُونَ﴾ ৩৭) তোমার রবের ভাণ্ডারসমূহ কি এদের অধিকারে? নাকি ঐ সবের ওপর তাদের কৃর্তৃত্ব বলে ?২৯ 
﴿أَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ يَسْتَمِعُونَ فِيهِ ۖ فَلْيَأْتِ مُسْتَمِعُهُم بِسُلْطَانٍ مُّبِينٍ﴾ ৩৮) তাদের কাছে কি কোন সিঁড়ি আছে, যাতে আরোহণ করে তারা উর্ধজগতের কথা শুনে নেয় ? এদের মধ্যে যে শুনেছে সে পেশ করুক কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ৷  
﴿أَمْ لَهُ الْبَنَاتُ وَلَكُمُ الْبَنُونَ﴾ ৩৯) আল্লাহর জন্য কি কেবল কন্যা সন্তান আর তোমাদের জন্য যত পুত্র সন্তান?৩০ 
﴿أَمْ تَسْأَلُهُمْ أَجْرًا فَهُم مِّن مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُونَ﴾ ৪০) তুমি কি তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক দাবী করছো যে, তাদের ওপর জোরপূর্বক চাপানো জরিমানার বোঝার নীচে তারা নিশেষিত হচ্ছে ?৩১ 
﴿أَمْ عِندَهُمُ الْغَيْبُ فَهُمْ يَكْتُبُونَ﴾ ৪১) তাদের কাছে কি অদৃশ্য সত্যসমূহের জ্ঞান আছে যার ভিত্তিতে তারা লিখছে? ৩২ তারা কি কোন চক্রান্ত আঁটতে চাচ্ছে ? ৩৩ 
﴿أَمْ يُرِيدُونَ كَيْدًا ۖ فَالَّذِينَ كَفَرُوا هُمُ الْمَكِيدُونَ﴾ ৪২) (যদি তাই হয়) তাহলে কাফেররাই উল্টো নিজেদের ষড়যন্ত্রের জালে আটকা পড়বে৷ ৩৪ 
﴿أَمْ لَهُمْ إِلَٰهٌ غَيْرُ اللَّهِ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ﴾ ৪৩) আল্লাহ ছাড়া কি তাদের আর কোন ইলাহ আছে ? যে শির্ক তারা করছে আল্লাহ তা থেকে পবিত্র৷৩৫ 
﴿وَإِن يَرَوْا كِسْفًا مِّنَ السَّمَاءِ سَاقِطًا يَقُولُوا سَحَابٌ مَّرْكُومٌ﴾ ৪৪) এরা যদি আসমানের একটি অংশ পতিত হতে দেখে তাহলেও বলবে, এ তো ধাবমান মেঘরাশি৷৩৬ 
﴿فَذَرْهُمْ حَتَّىٰ يُلَاقُوا يَوْمَهُمُ الَّذِي فِيهِ يُصْعَقُونَ﴾ ৪৫) অতএব, হে নবী, তাদেরকে আপন অবস্থায় থাকতে দাও৷ যাতে তারা সে দিনটির সাক্ষাত পায় যেদিন তাদেরকে মেরে ভূপাতিত করা হবে৷  
﴿يَوْمَ لَا يُغْنِي عَنْهُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ﴾ ৪৬) সেদিন না তাদের কোন চালাকি কাজে আসবে, না কেউ তাদেরকে সাহায্য করতে এগুবে৷  
﴿وَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُوا عَذَابًا دُونَ ذَٰلِكَ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَهُمْ لَا يَعْلَمُونَ﴾ ৪৭) আর সেদিনটি আসার আগেও জালেমদের জন্য একটা আযাব আছে৷ কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না ৷ ৩৭ 
﴿وَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَإِنَّكَ بِأَعْيُنِنَا ۖ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِينَ تَقُومُ﴾ ৪৮) হে নবী! তোমার রবের ফায়সালা আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করো৷ ৩৮ তুমি আমার চোখে চোখেই আছ৷ ৩৯ তুমি যখন উঠবে তখন তোমার রবের প্রশংসায় তাসবীহ পাঠ করো ৪০ 
﴿وَمِنَ اللَّيْلِ فَسَبِّحْهُ وَإِدْبَارَ النُّجُومِ﴾ ৪৯) তাছাড়া রাত্রিকালেও তার তাসবীহ পাঠ করো৷ ৪১ আর তারকারাজি যখন অস্তমিত হয় সে সময়ও৷ ৪২ 
|