আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক
করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা
করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
<< সূরা তালিকাআন নাযিয়াত
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)
নামকরণ :
সূরার প্রথম শব্দ ( আরবী ---------------------------) থেকে এ নামকরণ করা হয়েছে।
নাযিলের সময় কাল :
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন , “ আম্মা ইয়াতাসা আলূনা”র পরে এ সূরাটি নাযিল হয়। এটি যে প্রথম দিকের সূরা তা এর বিষয়বস্তু থেকেও প্রকাশ হচ্ছে।
বিষয়বস্তু ও আলোচ্য বিষয় :
এ সূরার বিষয়বস্তু হচ্ছে কিয়ামত ও মৃত্যুর পরের জীবনের প্রমাণ এবং এ সংগে আল্লাহর রসূলকে মিথ্যা বলার পরিণাম সম্পর্কে সাবধানবাণী উচ্চারণ।
বক্তব্যের সূচনায় মৃত্যুকালে প্রাণ হরণকারী , আল্লাহর বিধানসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নকারী এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী সারা বিশ্ব জাহানের ব্যবস্থা পরিচালনাকারী ফেরেশতাদের কসম খেয়ে নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে যে , কিয়ামত অবশ্যি হবে এবং মৃত্যুর পরে নিশ্চিতভাবে আর একটি নতুন জীবনের সূচনা হবে। কারণ যে ফেরেশতাদের সাহায্যে আজ মানুষের প্রাণবায়ূ নির্গত করা হচ্ছে তাদেরই সাহায্যে আবার মানুষের দেহে প্রাণ সঞ্চার করা যেতে পারে। যে ফেরেশতারা আজ মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে সংগে সংগেই আল্লাহর হুকুম তামিল করে যাচ্ছে এবং সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থা পরিচালনা করছে , আগামী কাল সেই ফেরেশতারাই সেই একই আল্লাহর হুকুমে এ বিশ্ব ব্যবস্থা ওলটপালট করে দিতে এবং আর একটি নতুন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
এরপর লোকদের জানানো হয়েছে , এই যে কাজটিকে তোমরা একেবারেই অসম্ভব মনে করো , আল্লাহর জন্য এটি আদতে এমন কোন কঠিন কাজই নয় , যার জন্য বিরাট ধরনের কোন প্রস্তুতির প্রয়োজন হতে পারে। একবার ঝাঁকুনি দিলেই দুনিয়ার এ সমস্ত ব্যবস্থা ওলটপালট হয়ে যাবে। তারপর আর একবার ঝাঁকুনি দিলে তোমরা অকস্মাৎ নিজেদেরকে আর একটি নতুন জগতের বুকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পাবে। তখন যারা এ পরবর্তী জগতের কথা অস্বীকার করতো তারা ভয়ে কাঁপতে থাকবে । যেসব বিষয় তারা অসম্ভব মনে করতো তখন সেগুলো দেখতে থাকবে অবাক বিস্ময়ে।
তারপর সংক্ষেপে হযরত মূসা (আ) ও ফেরাউনের কথা বর্ণনা করে লোকদের সাবধান করে দেয়া হয়েছে যে , আল্লাহর রসূলকে মিথ্যা বলার , তাঁর হিদায়াত ও পথনির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করার এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁকে পরাজিত করার জন্য প্রচেষ্ট চালাবার পরিণাম ফেরাউন দেখে নিয়েছে । ফেরাউনের পরিণাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তোমরা যদি নিজেদের কর্মনীতি পরিবর্তন না করো তাহলে তোমাদের পরিণামও অন্য রকম হবে না।
এরপর ২৭ থেকে ৩৩ আয়াত পর্যন্ত মৃত্যুর পরের জীবনের সপক্ষে যুক্তি প্রমাণ পেশ করা হয়েছে । এ প্রসঙ্গে প্রথমেই অস্বীকারকারীদের জিজ্ঞেস করা হয়েছে , তোমাদের দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা কি বেশী কঠিন কাজ অথবা প্রথমবার মহাশূন্যের অসংখ্য গ্রহ-নক্ষত্র সহ এ বিশাল বিস্তীর্ণ বিশ্ব জগত সৃষ্টি করা কঠিন কাজ ? যে আল্লাহর জন্য এ কাজটি কঠিন ছিল না তাঁর জন্য তোমাদের দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করা কঠিন হবে কেন ? মাত্র একটি বাক্যে আখেরাতের সম্ভাবনার সপক্ষে এ অকাট্য যুক্তি পেশ করার পর পৃথিবীর প্রতি এবং পৃথিবীতে মানুষ ও অন্যান্য জীবের জীবন ধারণের জন্য যেসব উপকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। পৃথিবীতে জীবন ধারণের এ উপকরণের প্রতিটি বস্তুই এই মর্মে সাক্ষ প্রদান করবে যে , অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা , বিচক্ষণতা ও কর্মকুশলতা সহকারে তাকে কোন না কোন উদ্দেশ্য পূর্ণ করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ইংগিত করার পর মানুষের নিজের চিন্তা ভাবনা করে মতামত গঠনের জন্য এ প্রশ্নটি তার বুদ্ধিমত্তার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে যে , সমগ্র বিশ্ব জাহানের এ বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থায় মানুষের মতো একটি বুদ্ধিমান জীবকে স্বাধীন ক্ষমতা , ইখতিয়ার ও দায়িত্ব অর্পণ করে তার কাজের হিসেব নেয়া , অথবা সে পৃথিবীর বুকে সব রকমের কাজ করার পর মরে গিয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে এবং চিরকালের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে , তারপর তাকে যে দায়িত্বসমূহ তার ওপর অর্পণ করা হয়েছিল সেগুলো কিভাবে পালন করেছে , তার হিসেব কখনো নেয়া হবে না ----------------- এর মধ্যে কোনটি বেশী যুক্তিসংগত বলে মনে হয় ? এ প্রশ্নে এখানে কোন আলোচনা করার পরিবর্তে ৩৪ থেকে ৪১ পর্যন্ত আয়াতে বলা হয়েছে , হাশরের দিন মানুষের স্থায়ী ও চিরন্তন ভবিষ্যতের ফায়সালা করা হবে। দুনিয়ায় নির্ধারিত সীমানা লংঘন করে কে আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহাত্মক আচরণ করেছে , পার্থিব লাভ স্বার্থ ও স্বাদ আস্বাদনকে উদ্দেশ্যে পরিণত করেছে এবং কে নিজের রবের সামনে হিসেব নিকেশের জন্য দাঁড়াবার ব্যাপারে ভীতি অনুভব করেছে ও নফসের অবৈধ আকাংখা বাসনা পূর্ণ করতে অস্বীকার করেছে , সেদিন এরি ভিত্তিতে ফায়সালা অনুষ্ঠিত হবে। একথার মধ্যেই ওপরের প্রশ্নের সঠিক জবাব রয়ে গেছে । জিদ ও হঠকারিতামুক্ত হয়ে ঈমানদারীর সাথে এ সম্পর্কে চিন্তা করলে যে কোন ব্যক্তিই এ জবাব হাসিল করতে পারে। কারণ মানুষকে দুনিয়ায় কাজ করার জন্য যেসব ইখতিয়ার ও দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে কাজ শেষে তার কাজের হিসেব নেয়া এবং তাকে শাস্তি বা পুরস্কার দেয়াই হচ্ছে এ ইখতিয়ার ও দায়িত্বের স্বাভাবিক , নৈতিক ও যুক্তিসংগত দাবী।
সবশেষে মক্কায় কাফেরদের যে একটি প্রশ্ন ছিল ‘ কিয়ামত কবে আসবে , তার জবাব দেয়া হয়েছে। এ প্রশ্নটি তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের কাছে বারবার করতো । জবাবে বলা হয়েছে , কিয়ামত কবে হবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। রসূলের কাজ হচ্ছে শুধূমাত্র কেয়ামত যে অবশ্যই হবে এ সম্পর্কে লোকদেরকে সতর্ক করে দেয়া। এখন যার ইচ্ছা কিয়ামতের ভয়ে নিজের কর্মনীতি সংশোধন করে নিতে পারে। আবার যার ইচ্ছা কিয়ামতের ভয়ে ভীত না হয়ে লাগামহীনভাবে চলাফেরা করতে পারে। তারপর যখন সে সময়টি এসে যাবে তখন এ দুনিয়ার জীবনের জন্য যারা প্রাণ দিতো এবং একেই সবকিছু মনে করতো , তারা অনুভব করতে থাকবে , এ দুনিয়ার বুকে তারা মাত্র সামান্য সময় অবস্থান করেছিল। তখন তারা জানতে পারবে , এ মাত্র কয়েক দিনের জীবনের বিনিময়ে তারা চিরকালের জন্য নিজেদের ভবিষ্যত কিভাবে বরবাদ করে দিয়েছে।
﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا﴾ ১) সেই ফেরেশতাদের কসম যারা ডুব দিয়ে টানে  
﴿وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا﴾ ২) এবং খুব আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে যায়৷  
﴿وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا﴾ ৩) আর (সেই ফেরেশতাদেরও যারা বিশ্বলোকে ) দ্রুত গতিতে সাঁতরে চলে,  
﴿فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا﴾ ৪) বারবার (হুকুম পালনের ব্যাপারে )সবেগে এগিয়ে যায়,  
﴿فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا﴾ ৫) এরপর (আল্লাহর হুকুম অনুয়াযী )সকল বিষয়ের কাজ পরিচালনা করে৷১  
﴿يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ﴾ ৬) যেদিন ভূমিকম্পের ধাক্কা ঝাঁকুনি দেবে  
﴿تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ﴾ ৭) এবং তারপর আসবে আর একটি ধাক্কা৷২  
﴿قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ﴾ ৮) কতক হৃদয় সেদিন ভয়ে কাঁপতে থাকবে৷৩  
﴿أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ﴾ ৯) দৃষ্টি হবে তাদের ভীতি বিহবল৷  
﴿يَقُولُونَ أَإِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ﴾ ১০) এরা বলে, “সত্যিই কি আমাদের আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে ?  
﴿أَإِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً﴾ ১১) পচা -গলা হাড্ডিতে পরিণত হয়ে যাওয়ার পরও ? ”  
﴿قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ﴾ ১২) বলতে থাকে “তাহলে তো এ ফিরে আসা হবে বড়ই লোকসানের !”৪  
﴿فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ﴾ ১৩) অথচ এটা শুধুমাত্র একটা বড় রকমের ধমক  
﴿فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ﴾ ১৪) এবং হঠাৎ তারা হাযির হবে একটি খোলা ময়দানে৷৫  
﴿هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَىٰ﴾ ১৫) তোমার৬  কাছে কি মূসার ঘটনার খবর পৌঁছেছে ?  
﴿إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى﴾ ১৬) যখন তার রব তাকে পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় ৭  ডেকে বলেছিলেন ,  
﴿اذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ﴾ ১৭) “ফেরাউনের কাছে যাও , সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে৷  
﴿فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَىٰ أَن تَزَكَّىٰ﴾ ১৮) তাকে বলো , তোমার কি পবিত্রতা অবলম্বন করার আগ্রহ আছে  
﴿وَأَهْدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخْشَىٰ﴾ ১৯) এবং তোমার রবের দিকে আমি তোমাকে পথ দেখাবো , তাহলে তোমার মধ্যে (তাঁর) ভয় জাগবে ? ৮  
﴿فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَىٰ﴾ ২০) তারপর মূসা ফেরাউনের কাছে গিয়ে তাকে বড় নিদর্শন৯  দেখালো ৷  
﴿فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ﴾ ২১) কিন্তু সে মিথ্যা মনে করে প্রত্যাখ্যান করলো ও অমান্য করলো ,  
﴿ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَىٰ﴾ ২২) তারপর চালবাজী করার মতলবে পিছনে ফিরলো ৷ ১০  
﴿فَحَشَرَ فَنَادَىٰ﴾ ২৩) এবং লোকদের জমায়েত করে তাদেরকে সম্বোধন করে বললো :  
﴿فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَىٰ﴾ ২৪) আমি তোমাদের সবচেয়ে বড় রব ”১১  
﴿فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَىٰ﴾ ২৫) অবশেষে আল্লাহ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন৷  
﴿إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَىٰ﴾ ২৬) আসলে এর মধ্যে রয়েছে মস্তবড় শিক্ষা , যে ভয় করে তার জন্যে৷১২  
﴿أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ ۚ بَنَاهَا﴾ ২৭) তোমাদের ১৩  সৃষ্টি করা বেশী কঠিন কাজ , না আকাশের ? ১৪  আল্লাহই তাকে সৃষ্টি করেছেন ,  
﴿رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا﴾ ২৮) তার ছাদ অনেক উঁচু করেছেন৷ তারপর তার ভারসাম্য কায়েম করেছেন৷  
﴿وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا﴾ ২৯) তার রাতকে ঢেকে দিয়েছেন এবং তার দিনকে প্রকাশ করেছেন৷১৫  
﴿وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَاهَا﴾ ৩০) এরপর তিনি যমীনকে বিছিয়েছেন৷ ১৬  
﴿أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءَهَا وَمَرْعَاهَا﴾ ৩১) তার মধ্য থেকে তার পানি ও উদ্ভিদ বের করেছেন ১৭  
﴿وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا﴾ ৩২) এবং তার মধ্যে পাহাড় গেড়ে দিয়েছেন ,  
﴿مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ﴾ ৩৩) জীবন যাপনের সামগ্রী হিসেবে তোমাদের গৃহপালিত পশুদের জন্য ১৮  
﴿فَإِذَا جَاءَتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَىٰ﴾ ৩৪) তারপর যখন মহাবিপর্যয় ঘটবে৷ ১৯  
﴿يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَىٰ﴾ ৩৫) যেদিন মানুষ নিজে যা কিছু করেছে তা সব স্মরণ করবে২০  
﴿وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ﴾ ৩৬) এবং প্রত্যেক দর্শনকারীর সামনে জাহান্নাম খুলে ধরা হবে ,  
﴿فَأَمَّا مَن طَغَىٰ﴾ ৩৭) তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছিল  
﴿وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا﴾ ৩৮) এবং দুনিয়ার জীবনকে বেশী ভালো মনে করে বেছে নিয়েছিল ,  
﴿فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَىٰ﴾ ৩৯) জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা৷  
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَىٰ﴾ ৪০) আর যে ব্যক্তি নিজের রবের সামনে এসে দাঁড়াবার ব্যাপারে ভীত ছিল এবং নফসকে খারাপ কামনা থেকে বিরত রেখেছিল  
﴿فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَىٰ﴾ ৪১) তার ঠিকানা হবে জান্নাত ৷ ২১  
﴿يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا﴾ ৪২) এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে , সেই সময়টি ( কিয়ামত ) কখন আসবে ?২২  
﴿فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا﴾ ৪৩) সেই সময়টি বলার সাথে তোমার সম্পর্ক কি ?  
﴿إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَاهَا﴾ ৪৪) এর জ্ঞান তো আল্লাহ পর্যন্তই শেষ ৷  
﴿إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا﴾ ৪৫) তাঁর ভয়ে ভীত এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করাই শুধুমাত্র তোমার দায়িত্ব ৷২৩  
﴿كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا﴾ ৪৬) যেদিন এরা তা দেখে নেবে সেদিন এর অনুভব করবে যেন ( এরা দুনিয়ায় অথবা মৃত অবস্থায় ) একদিন বিকালে বা সকালে অবস্থান করছে মাত্র ৷২৪  
|