সঠিকভাবে আরবি দেখার জন্য PDMS Saleem Quran Font ফন্টটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
আরবি কুরআনের টেক্সট তানজিল.ইনফো থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে।
আমাদের টাইপ করা বইগুলোতে বানান ভুল রয়ে গিয়েছে প্রচুর। আমরা ভুলগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছি ক্রমাগত। ভুল শুধরানো এবং টাইপ সেটিং জড়িত কাজে সহায়তা করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।
<< সূরা তালিকা
আন নাযিয়াত
ভূমিকা (নামকরণ, শানে নুযূল, পটভূমি ও বিষয়বস্তুর জন্য ক্লিক করুন)

﴿بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا﴾
১) সেই ফেরেশতাদের কসম যারা ডুব দিয়ে টানে  
﴿وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا﴾
২) এবং খুব আস্তে আস্তে বের করে নিয়ে যায়৷  
﴿وَالسَّابِحَاتِ سَبْحًا﴾
৩) আর (সেই ফেরেশতাদেরও যারা বিশ্বলোকে ) দ্রুত গতিতে সাঁতরে চলে,  
﴿فَالسَّابِقَاتِ سَبْقًا﴾
৪) বারবার (হুকুম পালনের ব্যাপারে )সবেগে এগিয়ে যায়,  
﴿فَالْمُدَبِّرَاتِ أَمْرًا﴾
৫) এরপর (আল্লাহর হুকুম অনুয়াযী )সকল বিষয়ের কাজ পরিচালনা করে৷ 
﴿يَوْمَ تَرْجُفُ الرَّاجِفَةُ﴾
৬) যেদিন ভূমিকম্পের ধাক্কা ঝাঁকুনি দেবে  
﴿تَتْبَعُهَا الرَّادِفَةُ﴾
৭) এবং তারপর আসবে আর একটি ধাক্কা৷ 
﴿قُلُوبٌ يَوْمَئِذٍ وَاجِفَةٌ﴾
৮) কতক হৃদয় সেদিন ভয়ে কাঁপতে থাকবে৷ 
﴿أَبْصَارُهَا خَاشِعَةٌ﴾
৯) দৃষ্টি হবে তাদের ভীতি বিহবল৷  
﴿يَقُولُونَ أَإِنَّا لَمَرْدُودُونَ فِي الْحَافِرَةِ﴾
১০) এরা বলে, “সত্যিই কি আমাদের আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে ?  
﴿أَإِذَا كُنَّا عِظَامًا نَّخِرَةً﴾
১১) পচা -গলা হাড্ডিতে পরিণত হয়ে যাওয়ার পরও ? ”  
﴿قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ﴾
১২) বলতে থাকে “তাহলে তো এ ফিরে আসা হবে বড়ই লোকসানের !” 
﴿فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ﴾
১৩) অথচ এটা শুধুমাত্র একটা বড় রকমের ধমক  
﴿فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ﴾
১৪) এবং হঠাৎ তারা হাযির হবে একটি খোলা ময়দানে৷ 
﴿هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ مُوسَىٰ﴾
১৫) তোমার কাছে কি মূসার ঘটনার খবর পৌঁছেছে ?  
﴿إِذْ نَادَاهُ رَبُّهُ بِالْوَادِ الْمُقَدَّسِ طُوًى﴾
১৬) যখন তার রব তাকে পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায়  ডেকে বলেছিলেন ,  
﴿اذْهَبْ إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ﴾
১৭) “ফেরাউনের কাছে যাও , সে বিদ্রোহী হয়ে গেছে৷  
﴿فَقُلْ هَل لَّكَ إِلَىٰ أَن تَزَكَّىٰ﴾
১৮) তাকে বলো , তোমার কি পবিত্রতা অবলম্বন করার আগ্রহ আছে  
﴿وَأَهْدِيَكَ إِلَىٰ رَبِّكَ فَتَخْشَىٰ﴾
১৯) এবং তোমার রবের দিকে আমি তোমাকে পথ দেখাবো , তাহলে তোমার মধ্যে (তাঁর) ভয় জাগবে ?  
﴿فَأَرَاهُ الْآيَةَ الْكُبْرَىٰ﴾
২০) তারপর মূসা ফেরাউনের কাছে গিয়ে তাকে বড় নিদর্শন দেখালো ৷  
﴿فَكَذَّبَ وَعَصَىٰ﴾
২১) কিন্তু সে মিথ্যা মনে করে প্রত্যাখ্যান করলো ও অমান্য করলো ,  
﴿ثُمَّ أَدْبَرَ يَسْعَىٰ﴾
২২) তারপর চালবাজী করার মতলবে পিছনে ফিরলো ৷ ১০  
﴿فَحَشَرَ فَنَادَىٰ﴾
২৩) এবং লোকদের জমায়েত করে তাদেরকে সম্বোধন করে বললো :  
﴿فَقَالَ أَنَا رَبُّكُمُ الْأَعْلَىٰ﴾
২৪) আমি তোমাদের সবচেয়ে বড় রব ”১১  
﴿فَأَخَذَهُ اللَّهُ نَكَالَ الْآخِرَةِ وَالْأُولَىٰ﴾
২৫) অবশেষে আল্লাহ তাকে আখেরাত ও দুনিয়ার আযাবে পাকড়াও করলেন৷  
﴿إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَىٰ﴾
২৬) আসলে এর মধ্যে রয়েছে মস্তবড় শিক্ষা , যে ভয় করে তার জন্যে৷১২  
﴿أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاءُ ۚ بَنَاهَا﴾
২৭) তোমাদের ১৩  সৃষ্টি করা বেশী কঠিন কাজ , না আকাশের ? ১৪  আল্লাহই তাকে সৃষ্টি করেছেন ,  
﴿رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا﴾
২৮) তার ছাদ অনেক উঁচু করেছেন৷ তারপর তার ভারসাম্য কায়েম করেছেন৷  
﴿وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا﴾
২৯) তার রাতকে ঢেকে দিয়েছেন এবং তার দিনকে প্রকাশ করেছেন৷১৫  
﴿وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَاهَا﴾
৩০) এরপর তিনি যমীনকে বিছিয়েছেন৷ ১৬  
﴿أَخْرَجَ مِنْهَا مَاءَهَا وَمَرْعَاهَا﴾
৩১) তার মধ্য থেকে তার পানি ও উদ্ভিদ বের করেছেন ১৭  
﴿وَالْجِبَالَ أَرْسَاهَا﴾
৩২) এবং তার মধ্যে পাহাড় গেড়ে দিয়েছেন ,  
﴿مَتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ﴾
৩৩) জীবন যাপনের সামগ্রী হিসেবে তোমাদের গৃহপালিত পশুদের জন্য ১৮  
﴿فَإِذَا جَاءَتِ الطَّامَّةُ الْكُبْرَىٰ﴾
৩৪) তারপর যখন মহাবিপর্যয় ঘটবে৷ ১৯  
﴿يَوْمَ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ مَا سَعَىٰ﴾
৩৫) যেদিন মানুষ নিজে যা কিছু করেছে তা সব স্মরণ করবে২০  
﴿وَبُرِّزَتِ الْجَحِيمُ لِمَن يَرَىٰ﴾
৩৬) এবং প্রত্যেক দর্শনকারীর সামনে জাহান্নাম খুলে ধরা হবে ,  
﴿فَأَمَّا مَن طَغَىٰ﴾
৩৭) তখন যে ব্যক্তি সীমালংঘন করেছিল  
﴿وَآثَرَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا﴾
৩৮) এবং দুনিয়ার জীবনকে বেশী ভালো মনে করে বেছে নিয়েছিল ,  
﴿فَإِنَّ الْجَحِيمَ هِيَ الْمَأْوَىٰ﴾
৩৯) জাহান্নামই হবে তার ঠিকানা৷  
﴿وَأَمَّا مَنْ خَافَ مَقَامَ رَبِّهِ وَنَهَى النَّفْسَ عَنِ الْهَوَىٰ﴾
৪০) আর যে ব্যক্তি নিজের রবের সামনে এসে দাঁড়াবার ব্যাপারে ভীত ছিল এবং নফসকে খারাপ কামনা থেকে বিরত রেখেছিল  
﴿فَإِنَّ الْجَنَّةَ هِيَ الْمَأْوَىٰ﴾
৪১) তার ঠিকানা হবে জান্নাত ৷ ২১  
﴿يَسْأَلُونَكَ عَنِ السَّاعَةِ أَيَّانَ مُرْسَاهَا﴾
৪২) এরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে , সেই সময়টি ( কিয়ামত ) কখন আসবে ?২২  
﴿فِيمَ أَنتَ مِن ذِكْرَاهَا﴾
৪৩) সেই সময়টি বলার সাথে তোমার সম্পর্ক কি ?  
﴿إِلَىٰ رَبِّكَ مُنتَهَاهَا﴾
৪৪) এর জ্ঞান তো আল্লাহ পর্যন্তই শেষ ৷  
﴿إِنَّمَا أَنتَ مُنذِرُ مَن يَخْشَاهَا﴾
৪৫) তাঁর ভয়ে ভীত এমন প্রত্যেক ব্যক্তিকে সতর্ক করাই শুধুমাত্র তোমার দায়িত্ব ৷২৩  
﴿كَأَنَّهُمْ يَوْمَ يَرَوْنَهَا لَمْ يَلْبَثُوا إِلَّا عَشِيَّةً أَوْ ضُحَاهَا﴾
৪৬) যেদিন এরা তা দেখে নেবে সেদিন এর অনুভব করবে যেন ( এরা দুনিয়ায় অথবা মৃত অবস্থায় ) একদিন বিকালে বা সকালে অবস্থান করছে মাত্র ৷২৪